বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ১০০ একর জমি ইজারা পেতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে সোমবার একটি চুক্তি সই করেছে এই দুই কোম্পানি।
এ শিল্পনগরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকায় (৪০ কোটি ডলার) ১১টি কারখানা স্থাপন করা হবে ।
আদানি-উইলমার যৌথ উদ্যোগের পক্ষে ইজারা চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ইনাম আহমেদ।
বেজার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব।
চট্টগ্রামের মিরসরাইতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বছরভিত্তিক ভাড়ায় এই জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে হয়েছে।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের প্রস্তাবিত কোম্পানির নাম আদানি–উইলমার বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে দেশে আদানি-উইলমারের যৌথ বিনিয়োগে ভোজ্যতেল শোধন ও বিপনন করছে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল।
অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, গত বছর মার্চে প্রধানমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফরের সময় সেখানকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য জমির চাহিদার কথা জানায় উইলমার গ্রুপ। মূলত সেখান থেকেই তাদেরকে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে।
এডিবল ওয়েলের জিএম ইনাম আহমেদ বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কাজ করা হবে। এরপর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সেখান থেকে উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ শিল্প এলাকায় মোট ১১টি কারখানা স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, গম, আটা, ভোজ্যতেল কারখানা। এছাড়া এসব পণ্য বিপণনের জন্য প্যাকেজিংসহ শিল্পের যাবতীয় সব ধরনের যোগান থাকবে এই শিল্পাঞ্চলে।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যৌথ কোম্পানিটি। এ শিল্প পার্কটি স্থাপিত হলে সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এখানকার উপাদিত পণ্যের একটা অংশ রপ্তানি করা হবে বিদেশে।
বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আদানি ভারতের বন্দর পরিচালনাকারী শীর্ষ কোম্পানি। ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশে তাদের ব্যবসা আছে।
অন্যদিকে উইলমার সিঙ্গাপুরের বড় কোম্পানিগুলোর একটি, যাদের মূল ব্যবসা কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে।
১৯৯৯ সালে এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী মিলে আদানি-উইলমার লিমিটেড (এডব্লিউএল) নামের একটি কোম্পানি গঠন করে।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে কোম্পানিটির ৪৫০টি কারখানা রয়েছে। পাশাপাশি ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের ৫০টি দেশে তাদের বিস্তৃত সরবরাহব্যবস্থা আছে। ভোজ্যতেল ব্যবসায় তারা এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।