বুধবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জারি করা অন্য এক সার্কুলারে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সার্বিক তথ্য যথাযথভাবে যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
ঐ সার্কুলারে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সকল বৈদেশিক লেনদেন প্রতিদিন ভিত্তিক অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করতে বলেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু ব্যাংকগুলো ঐ নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন না করায় বুধবার নতুন সার্কুলার জারি করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন সার্কুলারে বলঅ হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের সাথে সাথে পশ্চাৎপদসংযোগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ শুল্ক/বন্ড সংক্রান্ত বিধিবিধান পরিপালনীয় হয়ে থাকে।
“কিন্তু অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্থাপনকারী ব্যাংক কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ তথ্য অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করা হয় না মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত হয়েছে।”
পাশাপাশি ঋণপত্র সংশোধন করা হলে সে মোতাবেক পূর্বে রিপোর্টকৃত অনলাইন ব্যবস্থার তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
“অন-লাইন ব্যবস্থায় অপূর্ণাঙ্গ তথ্যের কারণে ঋণপত্রের বেনিফিশিয়ারী নানাবিধ সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে; যা দেশের সার্বিক রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নের স্বার্থে কাম্য নয়।”
“বর্ণিত প্রেক্ষাপটে আপনাদের সকল অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সার্বিক তথ্য যথাযথভাবে যথাসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থায় রিপোর্ট করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে।”