বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ১০ কোটি ডলারের জন্য বার্ষিক ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে বাংলাদেশকে। বাকি ১০ কোটি টাকার ওপর লন্ডন আন্তঃব্যাংক রেট (লাইবর) অনুযায়ী সুদের সঙ্গে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম এবং ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে।
পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ২৫ বছরে এ ঋণ শোধ করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এডিবির মধ্যে এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ ও এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘রুরাল কানেক্টিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে’ ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ জেলার সড়কের সংস্কার করা হবে।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে। বাকী ২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে এডিবি।
তারই প্রথম ধাপে ২০ কোটি ডলারের এই ঋণ চুক্তি করেছে সংস্থাটি।
ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ অনুষ্ঠানে বলেন, “এ প্রকল্প সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমান সরকার গ্রামকে শহর বানানোর ইশতেহার দিয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে উচ্চ আয় সৃষ্টি ও আর্থ-সামাজিক কেন্দ্রে যাতায়াত সুবিধা বাড়াতে ২ হাজার ২১০ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক এবং ৪৯৫ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক সংস্কার করা হবে।”
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২৩ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করবে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, “এ প্রকল্প সরকারের ইশতেহার পূরণে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে এসডিজি এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং বর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এডিবির আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, “এডিবির এ সহায়তা দিয়ে কৃষিপ্রধান অঞ্চলে সড়কের উন্নয়ন হবে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আরও বড় বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। ৫ কোটির বেশি মানুষ এ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন।”