তার আগের মাস অক্টোবরে পয়েন্ট টু ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আগের অর্থবছরের (২০১৭-১৮) নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি সর্বশেষ প্রতিবেদনে তথ্য মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মূল্যস্ফীতি কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বছর দেশে আমাদের প্রধান খাদ্যদ্রব্য ধানসহ অন্যান্য সকল ধরনের ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্য দ্রব্যের মূল্য নিম্নগামী।”
মন্ত্রী বলেন, “চলতি অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার টার্গেট রয়েছে সরকারের। মুল্যস্ফীতির নিম্নগামী হওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে সাধারণ গড় মূল্যস্ফীতি আরও কম হতে পারে।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে দেশে খাদ্যখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ, তার আগের মাস অক্টোবর মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আগের মাস অক্টোবরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। গ্রামীণ সূচকে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ওই মাসে গ্রামে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ, আগের মাসে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, আগের মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী গত নভেম্বর মাসে শহর এলাকায়ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ওই মাসে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের মাসে এ হার ছিল ৩৮ শতাংশ।
এদিকে বিবিএস এর হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমলেও জাতীয় পর্য়ায়ে সাধারণ মজুরী হার কিছুটা বেড়েছে।
নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মজুরি হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।
নভেম্বর মাসে কৃষি, শিল্প ও সেবা এই তিন বৃহৎ খাতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মজুরি হার ছিল যথাক্রমে ৬.২৫, ৬.১০ এবং ৬.৬৩ শতাংশ। অক্টোবর মাসে এর হার ছিল যথাক্রমে ৬.০৯, ৬.১০ এবং ৬.৭৯ শতাংশ।