প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় ১২টি মেটারনিটি ক্লিনিক, ৩৬টি রেফারাল ক্লিনিক এবং ৪৩২টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের সাহায্যে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সেবা দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করেছে ৬০ হাজার ৭৯৮ জন শিশু।
সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সন্তান জন্মের সময় মাতৃমৃত্যু হার প্রতিলাখে ৭০ এ নামিয়ে আনতে হবে।
সে লক্ষ্য পূরণে ২০১৩ সালে ‘আরবান হেল্থ: 'স্ট্রেনথিং কেয়ার ফর পুওর মাদার এন্ড নিউবর্নস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বেসরকারি সংস্থা মেরী স্টোপস বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট –ডিএফআইডি প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করে।৪টি মূল সূচকে শতভাগেরও বেশি সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে প্রকল্পটি।
পাঁচ বছর ব্যাপী এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১২টি জেলায় ১২টি মেটারনিটি ক্লিনিক, ৩৬টি রেফারাল ক্লিনিক এবং ৪৩২টি স্যাটেলাইট ক্লিনিকের সাহায্যে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সেবা দিয়েছে মেরী স্টোপস বাংলাদেশ।
এই প্রকল্পের আওতায় সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করেছে ৬০ হাজার ৭৯৮ জন শিশু। প্রসবপূর্ব সেবা পেয়েছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ১৩০ জন গর্ভবতী নারী। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রসবোত্তর সেবা পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৪৪৬ জন।
পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেয়া হয়েছে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৪টি পরিবারকে। প্রকল্পের অন্যতম অনুসঙ্গ ‘সুযোগ কার্ড’ এর মাধ্যমে বিনামূল্যে সেবা পেয়েছেন ৮২ দশমিক ২৫ শতাংশ সুবিধাভোগী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী ছিলেন ডিএফআইডির মেটারনাল এন্ড চাইল্ড হেলথ সার্ভিসেসের পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ এবং হেলথ এডভাইজর সেহলিনা আহমেদ।
প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান মেরী স্টোপস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাসরুরুল ইসলাম।
মাতৃমৃত্যু কমিয়ে আনা এবং সুলভে দরিদ্রদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবাকে পৌছে দেয়ার জন্য মেরী স্টোপসকে ধন্যবাদ দেন প্রধান অতিথি মহিউদ্দীন ওসমানী।
এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ডিএফআইডিকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডিএফআইডির মোহাম্মদ শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মা ও শিশুস্বাস্থ্ সেবা নিয়ে সফলভাবে কাজ করছে মেরি স্টোপস। এ সেবা কার্যক্রম আরো চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মেরী স্টোপসসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মা ও শিশুস্বাস্থ্ নিয়ে আরো উদ্যমী হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানান সেহলিনা আহমেদ।