‘কর দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব সবাই বুঝে গেছে’

কর দেওয়া যে নৈতিক দায়িত্ব এটা এখন সবাই বুঝে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2018, 05:22 PM
Updated : 19 Nov 2018, 05:58 PM

করমেলার সমাপণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, রেকর্ড আয়কর আহরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সপ্তাহ ব্যাপী আয়কর মেলা।এবার মেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। যা অতীতের যে কোন মেলার চেয়ে বেশি।

“মেলার প্রথম দিন থেকে আজকেও দেখেছি, বিশেষ করে তরুন করদাতা ও নারীদের যেভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কর দিতে দেখেছি তা আমার কাছে অত্যন্ত ভাল লেগেছে।”

এবারের কর আহরণকে মেলার ইতিহাসের রেকর্ড সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কর দেওয়া নৈতিক দায়িত্ব এটা সকলে বুঝে গেছে।”

১৩ নভেম্বর রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মহিত।

সোমবার সন্ধ্যায় সেই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখছিলেন মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

সভাপতিত্ব করেন আয়কর মেলা ২০১৮ এর সমন্বয়ক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, আয়কর মেলা শেষ হলেও আগামী ৩০ নভেম্বর পর্য়ন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে।

এখনও যারা আয়কর দাখিল করতে পারেন নি তাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “সার্কেল অফিসগুলোতেও মেলার মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।”

কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমাদের সেবা দেওয়ার প্রবণতা যেন কর অফিসগুলোতেও বজায় থাকে।

“কোনও কর্মকর্তার গাফিলতি সহ্য করা হবে না।”

এনবিআর চেয়ারম্যন বলেন, “চলতি বাজেটটি দুটি সরকার বাস্তবায়ন করবে। ডিসেম্বর পর্য়ন্ত বর্তমান সরকার বাস্তবায়ন করবে। এরপর নির্বাচনের পর যে সরকার আসবে তারাই বাস্তবায়ন করবেন।

“আগামী নির্বাচনের পর যে সরকারই আসুক আমাদের কর আহরণে ধারা একই থাকবে। সরকার পরিবর্তন হলেও আমাদের সহযোগিতার ধারা কমবে না; বরং আরও বাড়বে।”

এবারের মেলার আহরণ ও প্রাপ্তি তুলে ধরে এনবিআর চেয়ার‌ম্যান বলেন, এবারের মেলায় গত বছরের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি কর আদায় হয়েছে।রিটার্ন জমা পড়েছে প্রায় ৫ লাখ। যা গতবারের চেয়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।

কর সংক্রান্ত সেবা নিয়েছেন সাড়ে ষোল লাখ মানুষ। নতুন ইটিআইএন নিয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। গত বছরের মেলায় নিয়েছিলেন ২৯ হাজার ২৫৪ জন। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ।