তাদের ভাষ্যমতে, ব্যাংক ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় অবনতি ঘটেছে, তা না হলে এত বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার ঘটনা ঘটত না।
বুধবার রাজধানীর মিরপুরের বিআইবিএমে আয়োজিত সপ্তম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালে দেশের ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের ওপর পর্যালোচনা তুলে ধরেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ব্যাংক ঋণ সরবরাহ ছিল ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। শিল্প খাতে ঋণ সরবরাহ ছিল ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগের বছরে ছিল ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর্থিক খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ সরবরাহ ছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
“অন্যদিকে কৃষিখাতে ঋণ সরবরাহ ২০১৬ সালে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছিল, যা কমে ২০১৭ তে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। সরকারি খাতে যেখানে ঋণ সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ, সেখানে বেসরকারি খাতে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।”
দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণ সরবরাহ পরিচালনের সমালোচনা করেন তৌফিক আহমেদ।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী বিআইবিএমের সপ্তম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
এই সম্মেলন দেশের পুরো ব্যাংকিং খাত এবং এই খাত সংশ্লিষ্টদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্যাংক পরিচালনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কথা তুলে ধরে ব্যাংকারদের প্রতি নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমের ওপর দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।