এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কলকাতায় চীনের কনসাল জেনারেল মা হান বুধবার এক সম্মেলনে তার দেশের এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
হান বলেন, ভারত ও চীনের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা ও কুনমিংয়ের মধ্যে উচ্চ গতির ট্রেন চালুর এই পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া যায়।
“আর যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ট্রেনে চড়ে কলকাতা থেকে কুনমিংয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”
আর সেক্ষেত্রে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সামনেও লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে বলে মনে করছেন এই চীনা কূটনীতিবিদ।
তিনি বলেন, “আমরা ২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথের বিভিন্ন অংশে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারি। তাতে যেসব দেশের ওপর দিয়ে এই রেলপথ যাবে, তাদের সবারই অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকবে।”
কুনমিংয়ে ২০১৫ সালে যে গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন সম্মেলন হয়েছিল, সেখানেও এ পরিকল্পনার উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানান হান।
তিনি বলেন, এই রেলপথের লক্ষ্য হবে বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) করিডোরে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানো। আর কলকাতা থেকে কুনমিং পর্যন্ত ইতিহাসের সেই সিল্ক রুট পুনরুদ্ধারে চীন বদ্ধপরিকর।
কলকাতায় চীনের কনসাল জেনারেল এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, তার দেশের আলোচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ পরিকল্পনা বিশ্বজয়ের বা প্রতিবেশীদের দখল করার পরিকল্পনা থেকে নেওয়া হয়নি।
হানের ভাষায়, এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে আলোচনা আর পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সবারই লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করা যায়।