মঙ্গলবার একনেক সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামী বৈঠকে ইভিএম কেনার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা ব্যবহার করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে তার আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার মধ্যেই পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্পের অধীনে দেড় লাখ ইভিএম কেনার একটি প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে।
এর মধ্যে ইভিএম কিনতে ৩ হাজার ৫১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা; প্রচারে ৫ কোটি টাকা; পরিবহনে ৭ কোটি টাকা, মোটর যানে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, কম্পিউটার সফটওয়্যারে ৫০ কোটি টাকা, আসবাবপত্রে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে’ ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে।
“বর্তমানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমিত আকারে এটা ব্যবহার হচ্ছে। ইভিএমকে আমরা ধীরেসুস্থে ব্যবহারের পক্ষে। আস্তে আস্তে ব্যবহার করতে করতে আমরা যখন ইভিএমে অভ্যস্ত হয়ে যাব, তখন পুরোদমে ব্যবহার করা হবে।”
ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে হাতে যে সময় আছে, তাতে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে কিনা- সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার পর ঠিকাদার নিয়োগ, ক্রয় কমিটির অনুমোদন, এরপর আমদানি করে ব্যবহার করা… এটা ব্যবহার হতে পারে, আবার নাও পারে।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে হলেও বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনে এ যন্ত্রে ভোট করার বিরোধিতা করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, এটা ‘চাপিয়ে দেওয়া যাবে না’।
ইভিএম ব্যবহারকে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাও বলেছেন, ভোটে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কী হবে না- তা আরও পরের বিষয়ে। ইসি এখনও কেবল প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে।