বড় প্রকল্পের কারণে আমদানি ব্যয় বেশি: তোফায়েল

সরকারের বড় বড় কয়েকটি প্রকল্পের কারণে দেশে রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2018, 05:06 PM
Updated : 10 Sept 2018, 05:06 PM

সোমবার সংসদে সরকারদলীয় সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার কারণ তুলে ধরতে গিয়ে এই দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, “গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ব‌্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ঘাটতি পূরণে বিপুল পরিমাণে খাদ্য শস্য আমদানি করতে হয়েছে। সরকারের বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প, বিশেষ করে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ‌্যুত প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্লান্ট আমদানির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। তা ছাড়া ভোক্তার সক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ‌্য পণ্যের আমদানিও বেড়েছে।”

তোফায়েল বলেন, সরকার ভেষজ দ্রব্য রপ্তানির বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

২০১৭-১৮ সালে ৮৬ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারের ভেষজ দ্রব্য রপ্তানি করা হয় বলে জানান তিনি।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সংসদে জানান, সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠাতে সারা দেশে নিবন্ধন করা হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে ৯ হাজার ৯৩৩ জনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। পরে ২০১৬ সালে অধিক হারে কর্মী পাঠাতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আওতায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৬০৬ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ১৬৫টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই ও আগস্ট মাসে সৌদি আরবে ২৭ হাজার ৮১১ জন এবং মালয়েশিয়ায় ৩৪ হাজার ৮৮১ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে।

২০১৭ সালে সৌদি আরবে মোট ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি হতে আগস্ট পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৯ জনকে পাঠানো হয়েছে বলে সংসদে জানানো হয়।