রোববার সচিবালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়লা আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করার করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মজুদ হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২২ জুলাই বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়ে যায়। কাগজে কলমে মজুদ থাকলেও বাস্তবে না থাকায় এনিয়ে শোরগোলও শুরু হয়েছে।
কয়লার অভাবে যাতে এভাবে আর বিদ্যুতের উৎপাদন বন্ধ না থাকে সেজন্য ‘বাফার স্টকের’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে বাফার স্টক তৈরি করা হবে, যাতে করে হঠাৎ কোনো কারণে কয়লা সঙ্কট দেখা দিলে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত না হয়।”
খনি থেকে কয়লা উধাওয়ের মতো দুর্নীতির ঘটনা অনেক আগে থেকে ঘটছিল বলে দাবি করেন নসরুল।
“এই ঘটনা একদিনের ব্যাপার না। এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা এক দিনে সরানো হয়নি। কারণ এ পরিমাণ কয়লা সরাতে অন্তত ৩০ হাজার ট্রাক প্রয়োজন। ২০০৫ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। আর শেখ হাসিনার সরকারের সময় এই দুর্নীতিটা ধরা পড়েছে।”
তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেন প্রতিমন্ত্রী।
কয়লাখনির দুর্নীতির ঘটনায় দুটি তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেও তাতে দোষী হিসেবে চিহ্নিতদের নাম বলতে চাননি তিনি।
“কয়লা উধাওয়ের ঘটনায় দুটো তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। কারা জড়িত, কীভাবে হয়েছে বা কীভাবে করতে যাচ্ছে এসব রিপোর্ট হয়েছে। সে অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। পুলিশ মামলা করেছে, দুদকও মামলা করেছে। এই তদন্ত রিপোর্টগুলো হয়ত মামলার জন্য সাপোর্টিভ হবে।”
আমদানি করা কয়লা এবং খনি থেকে নতুন করে উত্তোলিত কয়লা দিয়ে অক্টোবরের শুরুতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পুরোদমে চালু করতে আশাবাদী প্রতিমন্ত্রী।