ঢাকা নারায়ণগঞ্জে বসবে সাড়ে ৮ লাখ প্রি-পেইড বিদ্যুৎ মিটার

বিদ্যুতের সিস্টেমলস শুন্যের কোঠায় এনে উন্নত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নে সরকার আরও সাড়ে আট লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2018, 12:36 PM
Updated : 14 August 2018, 12:36 PM

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় এসব প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। এজন্য প্রায় ৬৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় আট লাখ পঞ্চাশ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে তিন হাজার ৮৮ কোটি টাকার নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৩৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা আর বাকী ৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।

বিদ্যুতের প্রি-পেইড প্রকল্পটি বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় আট লাখ পঞ্চাশ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা জেলার রমনা, জিগাতলা, ধানমণ্ডি, আদাবর, পরিবাগ, কাকরাইল, বনশ্রী, মগবাজার, শ্যামলী, কামরাঙ্গীরচর, বাংলাবাজার, নারিন্দা, পোস্তগোলা ও ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলা, শীতলক্ষ্যা ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় প্রি-পেমেন্ট মিটার বসানো হবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান পোস্ট পেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর কারিগরি ও অ-কারিগরি সিস্টেমলস হয় এবং বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকত। প্রি-পেমেন্ট মিটার হলে সেটি আর থাকবে না।

এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬০৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, “সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা। চলতি বছরের মাঝামাঝিতেই তা ১৯ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। বছর শেষে উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-

>> প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা।

>> নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

>> ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ২১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

>> টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার জেলা মহাসড়ক, করটিয়া-বাসাইল জেলা মহাসড়ক এর পকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন জেলা মহাসড়কের দেলদুয়ার-এলাসিন অংশকে যথাযথমানেও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

>> গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

>> স্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প। এর ব্যয় ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

>> বাংলাদেশ পুলিশের ডেটা সেন্টারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

>> চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন মহানন্দা নদীর শেখ হাসিনা সেতুর সাথে সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ২৫৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।