ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে ০.৭৫ শতাংশ সুদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোমবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বক্ষরিত হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি রাজশ্রী পারালকার ওই চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অর্থ মূলত ‘ট্রান্সফরমিং সেকন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্ট (টিএসইআর)’ শীর্ষক চলমান একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।
এ কর্মসূচির আওতায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি কম আয়ের পরিবারের সন্তানদের, বিশেষ করে মেয়েদের এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনায় সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এছাড়া দেশের মাধ্যমিক স্তরের ৫ লাখ শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে শিক্ষার মান বৃদ্ধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
ইআরডি সচিব শফিকুল আযম বলেন, “বিশ্ব ব্যংক আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদারের মধ্যে অন্যতম বড় অংশীদার। গত অর্থবছর সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড় করেছে তারা। চলতি অর্থবছরে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি।”
বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি রাজশ্রী পারালকার বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করে ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু আরও উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এজন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষার মান বাড়াতে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এতে অংশীদার হতে পেরে আমরা খুশি।”