দ্য ফিনানসিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে দেশটির দুজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জেদ্দাভিত্তিক ওই ব্যাংক ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে বলেও ওই দুই কর্মকর্তার প্রত্যাশা।
ইসলামাবাদে জ্যেষ্ঠ এক উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “কাগজপত্র সব প্রস্তুত। অনুমোদন দেওয়ার আগে নির্বাচিত সরকারের দায়িত্বগ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে আইডিবি।”
ওই ঋণ চলতি অর্থবছরে পাকিস্তানের অন্তত আড়াই হাজার কোটি ডলারের আর্থিক ঘাটতি মেটাতে না পারলেও সেটা ‘গুরুত্বপূর্ণ অবদান’ রাখবে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
তার সরকারের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) সংকট থেকে পরিত্রাণ খোঁজা। উচ্চ আমদানি ও স্থবির রপ্তানি খেয়ে ফেলছে দেশটির বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন।
এই সংকট কাটাতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ১২০০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাকিস্তান। তবে তার জন্য দেশটিতে চীন থেকে নেওয়া আর্থিক সহযোগিতার যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
আইডিবির সঙ্গে দেনদরবারে সংশ্লিষ্ট পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাকিস্তানকে চলমান সংকট থেকে উত্তরণে সহায়তা করতে সৌদি আরব’ ওই ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করছে।
সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ‘প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ’ দিতে সেখানে অজ্ঞাতসংখ্যক সেনাসদস্য পাঠানোর পর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে বলে ফিনানসিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে সৌদি সরকারের অনুরোধের পরেও পাকিস্তানের সেনাদের যেন ইয়েমেনে যুদ্ধে পাঠানো না হয় বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে সরকার।