এজন্য দুই লাখ ৩০৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে সম্প্রতি সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
৬৪ জেলার ৪৯২টি উপজেলায় এক লাখ ৭৬ হাজার টন চাল এবং ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ক্যাটাগরির ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ২৪ হাজার ৩০৬ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
গত রোজার ঈদের আগে দুস্থ পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিতে এক লাখ ১৫৩ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
ঈদুল আজহার চালের বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, দুস্থ বা অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এই খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতিদরিদ্ররা অগ্রাধিকার পাবেন।
সরকারের বেঁধে দেওয়া ১২ শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ হিসেবে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে।
ব্যক্তি বা পরিবারকে দুস্থ হিসেবে গণ্য করার ১২ শর্ত
# যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ী ছাড়া কোনো জমি নেই।
# যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের উপর নির্ভরশীল।
# যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির উপর নির্ভরশীল।
# যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণ বয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই।
# যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়।
# যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই।
# যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্ত মহিলা।
# যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা।
# যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী।
# যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্রঋণ প্রাপ্ত হয়নি।
# যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে।
# যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দু’বেলা খাবার পায় না।
একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি যাতে ভিজিএফ কার্ড না পায় সেভাবে অসহায় ও দুস্থদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
“উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মহিলার অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা দায়ভার বহন করবেন,” বলা হয়েছে সরকারের নির্দেশনায়।
বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য আগামী ১০ অগাস্টের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে। চাল বিতরণ শেষ করার সাত দিনের মধ্যে ব্যয়ের প্রতিবেদন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।