মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স কক্ষে মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘নিশ্ছিদ্র’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ছয় স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে, ৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে।
“ফলে সোনায় হেরফের হবার কোনও সুযোগ নেই। শুল্ক গোয়েন্দা অফিসার যেভাবে জমা দিয়েছিলেন, সোনা সেভাবেই আছে।”
শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযোগ তোলার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনায় অনিয়মের কথা অস্বীকার করে আসছে।
ব্যাংকের ‘অটুট’ নিরাপত্তা নিয়ে নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে ছয় স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট রয়েছে। চাইলেই কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
“যদি স্বয়ং গভর্নরও যেতে চান, তাকে যথাযথ পাস ও অনুমোদন নিয়ে ঢুকতে হবে। যার ফলে ভল্টে রক্ষিত সম্পদের কোনো ধরনের হেরফের করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
সোনা নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা ‘ঠিক আছে এবং ঘরেই আছে’।
এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বছরের বেশি সময় অনুসন্ধান করে তারা ওই অনিয়ম পেয়েছেন।
এবিআরের অধীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটির জায়গায় এখন আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সমর্থন করে বলছেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সমস্যা নাই, স্বর্ণের বিষয় ইজ অ্যাবসলিউটলি ইউসলেস।”
আরও খবর