‘বন্ডের দুর্বলতায় চাপে ব্যাংক ব্যবস্থা’

বাংলাদেশে বন্ডের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮ দশমিক ০৬ ভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2018, 07:42 PM
Updated : 26 July 2018, 07:42 PM

দেশের অর্থনীতিতে বন্ডের এ অবস্থান এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘দুর্বল’ হওয়ার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা চাপে পড়েছে বলে এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরেন অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যনার্জী।

বিআইবিএম মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও ব্যাংক রিফর্মস এ্যাডভাইজার এস কে সুর চৌধুরী।

অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বলেন, “বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র ৮ দশমিক ০৬ ভাগ বন্ড রয়েছে। এরমধ্যে কর্পোরেট বন্ড মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। আর বাকি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ সরকারি বন্ড।”

তার গবেষণাপত্রে বলা হয়, ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে বন্ডের অবদান ২২ দশমিক ৯৮ ভাগ, থাইল্যান্ডে ৭২ দশমিক ৭৮ ভাগ, সিঙ্গাপুরে ৮৩ দশমিক ২২ ভাগ, ফিলিপিন্সে ৩৪ দশমিক ৬২ ভাগ, মালয়েশিয়ায় ৯৭ দশমিক ৬২ ভাগ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১২৫ দশমিক ৩২ ভাগ, জাপানে ২১০ দশমিক ৪৬ ভাগ, ভারতে ১৮ দশমিক ৭৪ ভাগ, হংকংয়ে ৬৯ দশমিক ৫৪ ভাগ এবং চীনে ৬৭ দশমিক ৭৪ ভাগ।

প্রশান্ত বলেন, “বাংলাদেশে বিশেষ করে কর্পোরেট বন্ডের অবস্থা খুব করুন। এখাতে বন্ড রয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।”

বন্ড মার্কেটে নতুন অনেক সিকিউরিটিজ আনলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাবে বলে মনে করেন তিনি। এজন্য তিনি জিরো কুপন বন্ড, ফিক্সড কুপন বন্ড, সুকুক বন্ডের মতো পণ্য আনা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

এস কে সুর চৌধুরী বলেন, “এটা সত্যি যে ২০০৮ সাল থেকে আমরা নানা রকম উদ্যোগ নিয়েও আমাদের বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করতে পারিনি।

“কিন্তু এখন দিনে দিনে বন্ড মার্কেটের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। যেমন আমরা বন্ড মার্কেট দিয়ে আমাদের ব্যালান্স অব পেমেন্ট ঠিক রাখতে কাজে লাগাতে পারি।”

তিনি বলেন, “আমাদের এসডিজি ও উন্নয়নের পথে অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব প্রকল্পের জন্য আমরা বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারি।”