বৃহস্পতিবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে একথা জানান সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এই চার লাখ মানুষকে বর্তমানে ব্র্যাকে সচল কারিগরি প্রশিক্ষণ যেমন, হোটেল ব্যবস্থাপনা, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলাই কর্ম ইত্যাদিতে দক্ষ করে তোলা হবে। এই জনশক্তি দেশ ও দেশের বাইরে কাজ করতে পারবে বলে জানান তারা।
সংস্থাটির পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “প্রতি বছর নতুন ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। বিশ্ব ব্যাংকের মতে, এদের মধ্যে ৪১ শতাংশের যথাযথ শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই।
“তাই আগামী দিনে ব্র্যাক ২০২০ সাল নাগাদ শ্রমবাজারে আসা চার লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করছে।”
অনুষ্ঠানে কর্মকর্তারা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে বিনিয়োগ এবং অতিদারিদ্র দূরীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুসা বলেন, “ব্র্যাকের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলে আটটি বিষয়ে আরও জোর দেওয়া হবে, সেগুলো হল অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ, দরিদ্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, তরুণদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার সমতা, দরিদ্রবান্ধব নগর উন্নয়ন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি, এবং পরবর্তী প্রজন্মে বিনিয়োগ।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের সহস্রাব্দ এসডিজি অর্জনে সরকারের সহায়ক সংস্থা হিসেবে ভূমিকা পালন করে চলেছে ব্র্যাক।
দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাক ২০০২ সাল থেকে অতিদরিদ্র কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৭ সালে প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার এই কর্মসূচির সহায়তায় স্থায়ীভাবে অতিদারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটে ছয় লাখেরও বেশি মানুষকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে তারা। এই কর্মসূচি এখনও চলমান।