কৃষি ঋণ বিতরণে ৬.৮% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা গত  অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2018, 09:27 AM
Updated : 25 July 2018, 09:27 AM

এই ঋণের ৬০ শতাংশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে শস্যখাতে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পাবে অন্তত ১০ শতাংশ। বাকি অর্থ কৃষি যন্ত্রপাতি,দারিদ্র্য বিমোচন,ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ,টার্কি পালন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করা হবে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লীঋণ কার্যক্রম ও নীতিমালা ঘোষণা করে ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখেই এই  লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা।

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। 

কৃষি খাতে বিতরণের জন্য এবার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তার মধ্যে ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো।

সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ,বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।

ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা।

ডেপুটি গর্ভনর বলেন,“জুলাই থেকে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ হওয়ার কথা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রেও একই হার বিদ্যমান থাকবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু বিতরণ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি, ২১ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। মোট ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনকে ওই ঋণ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।