বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দুই বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের নারী ও বাণিজ্য প্রকল্পের উপদেষ্টা নিকোলাস শালাইফার।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ছাড়াও ঘানা, কেনিয়া ও নাইজেরিয়ায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারী ব্যবসায়ীদের দক্ষতার উন্নয়নই এই প্রকল্পের মূল কর্মসূচি।
গত এপ্রিলেই কমনওয়েলথ বিজনেস ফোরামের এই প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়। কমনওয়েলথ সি ট্রেড প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ডিএফআইবডি।
সংবাদ সম্মেলনে নিকোলাস বলেন, নারী উদ্যোক্তা ও নারীদের মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য বাণিজ্য, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতায় ভালো করার লক্ষ্যে নিবিড় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পোশাক শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি ও সেবাখাতের উদ্যোক্তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। ২০২০ সালের মধ্যে তিন হাজার নারী ব্যবসায়ীকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।
নিকোলাস বলেন, কমনওয়েলথের সি-ট্রেডের মাধ্যমে নারীরা বাজারে তাদের প্রতিনিধিত্ব এগিয়ে নেবে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে তারা আরও শক্তিশালী অবস্থানে যাবে। ব্যবসায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দক্ষতা অর্জন করতে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা রহমান বলেন, “এই প্রকল্পটি আমাদের আইসিটি সেক্টরের নারীদের অগ্রগতিতে জোরালো ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের নারীরা নতুন নতুন মার্কেটে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে পারবে।”