ই-পাসপোর্টের কাজ পাচ্ছে জার্মান কোম্পানি

সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ পেয়েছে জার্মান কোম্পানি ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2018, 08:25 AM
Updated : 12 July 2018, 08:26 AM

ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভ্যারিডোসের কাছ থেকে ওই সরঞ্জাম ও সেবা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পায়। 

পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অটোমেটেড বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ প্রকল্পের আওতায় এসব পণ্য ও সেবা জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জার্মানির থেকে কেনা হবে। ব্যয় হবে মোট ৩ হাজার ৩৩৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি প্রবর্তনের পর এক দশকও পার হয়নি।

কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা দেখে সরকার ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানি সফরের সময় ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশের প্রতিষ্ঠান ভেরিডোস জিএমবিএইচ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়।

এরপর গত ২১ জুন ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন পেলে বিষয়টি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসে।

মোস্তাফিজুর জানান, স্বল্প ও দীর্ঘ ১৫ বছর মেয়াদে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

“চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে ভারতের সেমক্রপ গায়ত্রী পাওয়ার লিমিটেড থেকে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ দেশের সঞ্চালন লাইনে যোগ হবে।”

স্বল্প মেয়াদে চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৪ টাকা ৬৯ পয়সা।

আর দীর্ঘ মেয়াদে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম ৬ টাকা ১৭ পয়সা পড়বে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি।

সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রোকোর ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতি মেট্রিক গম ২৫৬ দশমিক ৩৮ ডলার মূল্য সরবরাহ করবে। এত ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

২০১৯ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজারটি বাই ছাপানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। ১৮৮টি লটে দেশের ভেতরে এসব বই ছাপাতে সরকারের ব্যয় হবে ৪৩৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

মোস্তাফিজুর জানান, ঢাকা শহরের সাবওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য টিপসা স্পেন নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে গাবতলী-নবীনগর চার লেন মহাসড়ককে এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিদেশে ইক্যুইটি ইনভেস্ট সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের খসড়া নীতিমালাটি আরও পর্যালোচনা করে পরবর্তী বৈঠকে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে এই কমিটি।