সৌরশক্তির সাহায্যে গ্রামাঞ্চলের সেচকৃষি প্রকল্প জোরদার করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থার দক্ষতার উন্নয়নের জন্য এডিবির নেওয়া একটি প্রকল্প থেকে ঋণ হিসেবে ২ কোটি ডলার এবং বাকি আড়াই কোটি ডলার অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুদান প্রকল্পে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প থেকে ২২ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার এবং তিন মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে ক্লিন এনার্জি ফান্ড থেকে।
বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৪ দশমিক ৫৮ ভাগ ব্যয় হয় সেচ প্রকল্পে। বৈদ্যুতিক পাম্পের অধীনে থাকা কৃষকদেরকে অব্যাহতভাবে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ফলে তারা বাধ্য হয়ে কেবল মাত্র রাতে সেচ চালের পথ বেছে নেন, কারণ রাতে জাতীয়ভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে আসে। আর যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই তাদের জন্য ব্যয়বহুল ডিজেল ইঞ্জিনের সেচ ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না।
বাংলাদেশের অন্তত ১১ মিলিয়ন কৃষক এখনও ডিজেল ইঞ্জিনের সেচের ওপর নির্ভরশীল বলে জানায় এডিবি। এর ফলে খরচ হয় প্রতিবছর এক মিলিয়ন টন ডিজেল।
সৌর বিদ্যুতের জন্য নতুন এই অর্থায়ন কমপক্ষে দুই হাজার সোলার পাম্প (সোলার ফটোভোল্টিক পাম্প) স্থাপনে সাহায্য করবে। এসব সোলার প্যানেল থেকে অন্তত ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে এডিবির ধারণা।
প্রকল্পের অধীনে সৌর বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহারে গ্রাহক সচেতনতার জন্য একটি প্রচারাভিযানও চালানো হবে।
ডিজেল ইঞ্জিন থেকে সৌলার প্লান্টে স্থানান্তর হলে ১৭ হাজার দুইশ টন কার্বোন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে বলে আভাস দিচ্ছে ম্যানিলাভিত্তিক এই সংস্থাটি।