রোববার জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ দেখানোরও পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদের সভাপতি।
ইনু বলেন, “ব্যাংকিং খাতের উপর তলায় কিছু দুর্নীতি হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। সেই জায়গায় শৃঙ্খলা আনা দরকার। এই লুটেরাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে, যাতে কেউ ব্যাংকের টাকা আর লুটপাট করতে না পারে। এজন্য ব্যাংক কমিশন গঠন করা দরকার।”
দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাব করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা রক্ষা করতে হলে বৈষম্যের অবসানের পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের দমনে ‘শূন্য সহিষ্ণু’ দেখিয়ে কঠোর হতে হবে।”
বৈষম্য বিলোপ, ইন্টারনেট অধিকার, খাদ্য অধিকার ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধিকার আইন প্রণয়ণের দাবি জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রসঙ্গও উঠে আসে।
তিনি বলেন, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নামে দণ্ডিত অপরাধী খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের মাঠে ফেরত আনার পাঁয়তারা চলছে। নির্বাচন কোনো অপরাধীকে হালাল করার মাধ্যম নয়। লাল কার্ড নিয়ে ক্ষমতার বাইরে রাখা খালেদা জিয়া আর মাঠে নামতে পারেন না। ক্ষমতার বাইরেই তাকে থাকতে হবে।”
ব্যাংক সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম বলেন, “ব্যাংক ডাকাতদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে নানাভাবে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক ডাকাতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন, তাদের হাত কি সরকারের চেয়েও লম্বা?
তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলের জন্য ক্রসফায়ারের ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। কিন্তু ব্যাংক ডাকাতদের ন্যূনতম শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না কেন? ব্যাংক ডাকাত এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের শাস্তি দিতে হবে।”
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “মাদক পাড়া-মহল্লায় বিস্তার করেছে। এই অবস্থার উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সংগ্রাম চলছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে। যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।”
‘যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করছেন’ তাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যেখানে অবৈধ অস্ত্র, সেখানে অবৈধ লেনদেন, যখনই অবৈধ জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হানা দেয় সেখানে ‘ফায়ার ওপেন’ করে।
“সেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ইচ্ছা করে কাউকে হত্যা করতে যায় না।”
অন্যদের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, মৎস্য ও পশু সম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, আওয়ামী লীগের সুবিদ আলী ভুইয়া, এ কে এম রহমতুল্লাহ, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সিমিন হোসেন রিমি, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান, রওশন আরা মান্নান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।