‘বাজেটে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন খাতে বৈষম্য বাড়বে’

বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়লেও তা যথেষ্ট বলে মনে করছে না ওয়াটারএইড, ইউনিসেফ, পিপিআরসিসহ এ খাতে কাজ করা কয়েকটি সংস্থা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2018, 02:01 PM
Updated : 24 June 2018, 02:01 PM

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) পক্ষ থেকে এক বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলা হয় বাজেট আরও বাড়ানো না হলে এ খাতে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের বৈষম্য আরও প্রকট হয়ে দেখা দেবে।

ওয়াটারএইড ও ইউনিসেফের যৌথ সহযোগিতায় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ নিয়ে পিপিআরসি এই বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে।

পিপিআরসির চেয়ারম্যান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পরিকল্পনা কমিশনের হিসাবে অনুযায়ী এ খাতে ৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা প্রয়োজন, কিন্তু  বাজেটে আমরা পেয়েছি ৫ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।”

গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বরাদ্দে বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ শতাংশ, কিন্তু তারপরও গ্রাম ও শহরাঞ্চলে বৈষম্য বেড়েছে। শহরাঞ্চলের জন্য ৯০ দশমিক ৯ শতাংশ ও গ্রামাঞ্চলের জন্য মাত্র ৯ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।”

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ খাতে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে পিছিয়ে থাকা গ্রাম ও অবহেলিত অঞ্চলগুলোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হলেও তাতে সাড়া না পাওয়ার কথা বলেন হোসেন জিল্লুর।

প্রস্তাবিত বাজেটের পর ছোট শহরগুলোতে ওয়াশ খাতে বৈষম্য আগের তুলনায় বাড়ার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, “বাজেটে এ খাতে কুমিল্লা, রংপুর, সিলেট, গাজীপুর ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে কোনো বরাদ্দ নেই।

“আর রাজশাহীতে বরাদ্দ কমেছে। শুধুমাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে।”

খুলনা সিটি করপোরেশনে গত দুই অর্থ বছরে ওয়াশ খাতে কোনো বরাদ্দ না থাকলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নতুন একটি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাজেটে ওয়াশ খাতে অর্থ বরাদ্দে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “পিছিয়ে থাকা গ্রাম ও অবহেলিত অঞ্চলগুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ খাতে অর্থ ব্যয়ে দক্ষ ব্যবস্থাপনা, সঠিক পরিবীক্ষণ, তদারকি ও সমন্বয়েরর দরকার।”

আরও খবর-