সোমবার সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় তিনি এ প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে ফ্ল্যাট নিবন্ধনে কর কমানোরও আহ্বান জানান তিনি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, “তারকা হোটেলে হার্ড ড্রিংকস এর উপর যে করারোপ করা হয়েছে তা অত্যধিক। কারণ যে হারে ট্যাক্স নেওয়া হয় এবং যে হারে বিক্রি করা হয় তাতে বিদেশিরা খুশি থাকেন না, অপছন্দ করেন।”
দেশে সরকার অনুমোদিত বারের সংখ্যা ৯৬টি জানিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু গুলশান বনানীতে যান সেখানে রেস্টুরেন্টগুলোতে ডিনার করতে যাবেন, আপনি যে কোনো ব্র্যান্ডের পানীয় চাইলে তারা পরিবেশন করবে। তারা ট্যাক্স দেয় না। যারা এসব করছে তাদের বৈধ করে দেন। সহস্র অবৈধ বার আছে। নির্দিষ্ট ফি নিয়ে এসব বার অনুমোদন দেওয়া হোক।”
ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে খরচ বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “১৬ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। আমার প্রস্তাব সরাসরি মাত্র ৭ শতাংশ করা হোক।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রত্যেক এমপি এমপিওভুক্তির দাবি করেছিলাম। অর্থমন্ত্রী তিনটা করে লিস্ট নিল। কিন্তু এমপিওভুক্তি হল না। শিক্ষকরা আন্দোলনে নামলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হল, করা হবে। কিন্তু বাজেটে কিছুই দেখলাম না। এটা চালু থাকুক।”
কৃষি জমির ওপর বসত স্থাপন বন্ধে নতুন আইন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যুৎ সমস্যার কথা জানাতে কল সেন্টার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “সিঙ্গেল ডিজিটের কল সেন্টার আগামী বছর নাগাদ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশের সকল গ্রাহকরা এখানে সমস্যার কথা বলতে পারবেন।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এখন লোডশেডিং নেই। লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট এক জিনিস নয়। ঝড়-বাতাস হলে তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। সঞ্চালন ঠিকমত হচ্ছে না। এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪২ বছর লেগেছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে। আমরা আরও আগে সেই জায়গায় যাব।”
বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, টিপু মুনশি, উম্মে রাজিয়া কাজল, মোসলেম উদ্দিন, মৃনাল কান্তি দাস।