ব্যাংক সংস্কারে কমিশন এ মেয়াদে হচ্ছে না: মুহিত

ব্যাংক খাতের সংস্কারে একটি কমিশন গঠনের কথা এর আগে বললেও এ সরকারের মেয়াদে সেই কমিশন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 June 2018, 03:41 PM
Updated : 8 June 2018, 05:06 PM

তিনি বলেছেন, কমিশন গঠনের জন্য কাগজপত্র তিনি তৈরি করে রেখেছেন, তবে কাজটি তিনি পরবর্তী সরকারের জন্য রেখে যেতে চান।

শুক্রবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আসে। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার ব্যয়ের ফর্দ উপস্থাপন করেন মুহিত। রেওয়াজ অনুযায়ী শুক্রবার বিকালে তিনি সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন।

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং কয়েকটি ব্যাংকে অনিয়মের ঘটনায় এ খাতের জন্য কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন অর্থনীতিবিদরা। ২০১৬ সালে অর্থমন্ত্রী নিজেও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ব্যাংক খাতকে আরও বেশি নজরদারির মধ্যে আনতে একটি কমিশন গঠনে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এরপর গতবছর ফেব্রুয়ারিতে তিনি বলেন, ওই কমিশন তিনি গঠন করবেন বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে।

শুক্রবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুহিত বলেন, “আমাদের ব্যাংকিং খাতটি আয়তনে অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকিং সার্ভিস এখনও দেশের বহুলোক পায় না। সেদিক দিয়ে বড় হওয়া সত্বেও ব্যাংকিং সার্ভিসের সে রকম প্রসায় হয়নি।

“বলেছিলাম ব্যাংকিং খাতের জন্য অদূর ভবিষ্যতে কমিশন করব। না, ব্যাংকিং কমিশন হচ্ছে না। ব্যাংকিং কমিশন করার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছি, আমি এটা পরবর্তী সরকারের কাছে দিয়ে যেতে চাই, পরবর্তী সরকার কে হবে তার ‍উপর নির্ভর করবে সংস্কার।”

এবার বাজেটে মুহিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানোর যে প্রস্তাব করেছেন তা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে।

মুহিতের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ব্যাংক খাতের বিদ্যমান ‘নৈরাজ্যের’ সমাধান না করে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া উচিৎ হবে না।

এ বিষয়ে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নানাভাবে প্রশ্ন করলেও অর্থমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গেই যাননি। 

তবে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “আমাদের ১০ ভাগ কর নিম্ন আয় শ্রেণির উপরে, করযোগ্য আয় যাদের হয়। ৪০ ভাগ করপোরেট ট্যাক্স ছিল, সেটা ব্যাংকিং সেক্টরের উপর ছিল, সেটি খুব বেশি ছিল, এটি নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা ছিল।

“সেজন্য অর্থমন্ত্রী উপরের দিক থেকে আড়াই ভাগ করপোরেট ট্যাক্স কমিয়েছেন। যেহেতু ব্যাংকিং সেক্টরই উপরে ছিল সেজন্য ব্যাংকিং সেক্টর থেকে এই করটা কমেছে।”

‘আমার সব বাজেটই নির্বাচনী বাজেট’

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের মূলমঞ্চে নিজের ডানপাশে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং বামে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুহিত।

মূল মঞ্চেই আরেকটি টেবিলে ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুহিত বলেন, “বাজেট যখন দিই তখন নিশ্চিয়ই ভেবে দেই এটা বাস্তবায়নযোগ্য, এটা বাস্তবায়িত হবে।… প্রতি বছরই কিছু না কিছু ঘাটতি হয়ে থাকে। বেশি ঘাটতি হওয়ার প্রবণতা কমছে এবং আমি আশা করছি আগামী বছর আরও কমবে। মোটামুটিভাবে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি সেটাই হবে।”

ভোট সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী জনতুষ্টির বাজেট দিয়েছেন- এমন আলোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমার প্রত্যেক বাজেটই নির্বাচনী বাজেট, প্রত্যেক বাজেট, তা তো হবেই। আমি একটা দলের সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমার বাজেট তো (নির্বাচনী বাজেট) হবেই। এমন বাজেট হবে যেটা মানুষ পছন্দ করবে। পছন্দটা করবে এক দিনের জন্য না, … প্রত্যেক বছরের জন্য পছন্দ করবে।

নির্বাচনী বছরের বাজেট হলেও তা বাস্তবায়নে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে সাধারণত এপ্রিল মাসে নির্বাচনী হাওয়া লেগে যায়, এবার একটু দেরিই হচ্ছে, এটা দেশের জন্য ভালো। কারণ নির্বাচনী হাওয়া যত কম সময় চলবে তত কম সময় কাজ ডিস্টার্ব হবে। এবার হয়ত নির্বাচনী বছরেও বাস্তবায়ন আমাদের খারাপ হবে না।”

বাজেটের আগে মুহিত আভাস দিয়েছিলেন, এবার নতুন কোনো কর জনগণের ওপর চাপানো হবে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “মোটামুটিভাবে সে কথা রাখতে সক্ষম হয়েছি।”

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাজেটে বিশেষ কোনো সুবিধার ঘোষণা থাকছে কি না- এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের স্বার্থ এ সরকার যেভাবে দেখেছে… ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন ছিল এখন পায় ৭৮ থেকে ৮২ হাজার টাকা।

“তারপরেও পেনশনের অবস্থা ভালো এবং তারপরও ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে মনে হয় না কোনো ব্যক্তি আছেন যে আরও সুবিধা চান।”

উবার, পাঠাওয়ের মত রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো যে আয় করবে, তার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে সরকারকে দিতে হলে এ সেবায় খরচ বাড়বে কি না- এমন প্রশ্নের কোনো জবাব অর্থমন্ত্রী দেননি।

করপোরেট কর নিয়ে এক প্রশ্নে মুহিত বলেন, “করপোরেট করের উচ্চতম হার সাড়ে ৩৭ শতাংশে নিয়ে এসেছি যা আন্তর্জাতিকভাবে তুলনীয়। সাড়ে ৩৭ এর বেশি আছে কয়েকটা, যেমন- সিগারেট ও আনলিস্টেড টেলকোগুলো।”

বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাবে- এমন দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “একটা দরিদ্র, অভাবী, অনহারী, সব সময় কষ্ট পাচ্ছে- সে রকম একটা দেশে আমি ১৯৭১ সালে বাস করতে শুরু করি। আজকের এই দেশ সেই দেশ নয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এই দেশ যথেষ্ট উন্নত দেশ। যেখানে গ্রামে-গঞ্জে লোকজন সুখে বসবাস করে, অভাব শব্দটা এই দেশে এখন নেই, মঙ্গা দেশ থেকে উজাড় হয়ে চলে গেছে।”

রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা জানিয়ে মুহিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেগুলো পাওয়া গেলে সেই অর্থের পুরোটা খরচ করা নাও লাগতে পারে।

দারিদ্য ‘বাড়ছে না’

সরকার বাজেটে ধনীর জন্য বেশি সুবিধা দিলেও গরিবের কাছ থেকে আরও বেশি কর আদায়ের পরিকল্পনা নিয়ে এমন অভিযোগেরও জবাব দেন মুহিত। 

সব মিলিয়ে ১২ বার বাজেট দেওয়ার রেকর্ড স্পর্শ করা এই অর্থমন্ত্রী বলেন,  দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বা বৈষম্য বাড়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

অনেকটা ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে উচ্চস্বরে তিনি বলেন, “এদেশে দারিদ্র্য রাড়ছে না। যে বলে বাড়ছে- মিথ্যা। বৈষম্য বাড়েনি। … কয়জনের জন্য বাড়ছে দেখেন। কতজন দরিদ্র্য দেশে আছে?”

সাংবাদিকরা যেভাবে প্রশ্ন করছেন, তার সমালোচনা করে ৮৫ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এমন সব প্রশ্ন করছেন আমার পক্ষে এগুলো সম্বন্ধে বলতেও লজ্জাবোধ করে। এ রকম কি করে হতে পারে … যারা দেশের পরিবর্তন স্বীকার করে না। বাংলাদেশে এখন ২২.৪ শতাংশ লোক গরিব। আপনাদের জন্মের আগে সেটা ছিল ৭০ শতাংশ। বোঝেন কোথায় ছিল বাংলাদেশ এবং কোথায় এসেছে।

“সাত বছর আগে সাড়ে ৩০ শতাংশ লোক গরিব ছিল। যারা চূড়ান্ত গরিব (অতিদরিদ্র) তাদের সংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ, এখন তারা ১১ শতাংশ। কোন মুখে আপনারা বলেন এদেশে গরীব মারার বাজেট হচ্ছে, ধনীকে তেল দেবার বাজেট হচ্ছে? দেশের উন্নয়নে… বলেননি কিন্তু বোঝাতে চাচ্ছেন কিছুই হয়নি। স্যরি। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য স্যরি।”

সঞ্চয়পত্রের সুদহার পর্যালোচনা জুলাইয়ে

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার জুলাই মাসে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সঞ্চয়পত্র নিয়ে বাজেটে কোনো বক্তব্য না থাকার ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি বলেছি (সঞ্চয়পত্রে) যে মুনাফা পাওয়া যায় সেটা নিয়ে সভা দিয়েছিলাম, সভা করতে পারিনি।”

সবশেষ ২০১৫ সালের ১০ মে সবধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদ হার গড়ে ২ শতাংশ কমানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেনি।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দুই-তিন বছর পর পর পর্যালোচনা করার কথা জানিয়ে মুহিত বলেন, “এবার একটু দেরি হয়েছে, পরের মাসে রিভিউ হবে।”

সরকারের ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে বলে গত বছরও বাজেটের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু পরে বাজেট অধিবেশনে মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রী ওই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করায় শেষ পর্যন্ত আর সুদের হার কমানো হয়নি।

জাতীয় সংসদে নতুন অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনের পরদিন শুক্রবার রেওয়াজ অনুযায়ী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন

অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাটের প্রস্তাব ‘ছাপার ভুল’

অনলাইনে পণ্য বা সেবা কেনাবেচায় ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের যে প্রস্তাব নতুন অর্থবছরের বাজেটে করা হয়েছ, তা ভুলক্রমে ছাপা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ভার্চুয়াল বিজনেস যেমন ইউটিউব, ফেইসবুক এগুলোর উপর ট্যাক্স ধার্য করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কিন্তু অনলাইন বিজনেস আমরা আলাদা করেছি, এটার ওপর ভ্যাট বসাইনি।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে ইন্টারনেট বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পণ্য বা সেবার পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল বিজনেস নামে একটি সেবার সংজ্ঞা সৃষ্টি করা হয়েছে।

“এর ফলে অনলাইনভিত্তিক যে কোনো পণ্য বা সেবার ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরকে এ সেবার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হবে। তাই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।”

তার এই ঘোষণায় অনলাইনে কেনাকাটায় ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকা সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়। অনেকেই মুহিতের ওই প্রস্তাবের সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনলাইন বেশ পপুলার হয়েছে, সুতরাং তাদেরও…।

মুহিতের বক্তব্য শেষ না হতেই চেয়ার থেকে উঠে এসে মন্ত্রীকে কিছু একটা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। পরে বিষয়টি নিয়ে তাকেই বক্তব্য দিতে বলেন অর্থমন্ত্রী।

এনবিআর চেয়ারম্যান তখন অনলাইনে কেনাবেচায় ভ্যাট বসানো হয়নি বলে জানালে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবের বিষয়টি তুলে ধরেন।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তখন বলেন, “ছাপায় হয়ত ভুল হতে পারে।”

‘কম প্রসাধনীতে অসুন্দর লাগবে না’

বাজেটে প্রসাধন সামগ্রীর উপর শুল্ক আরোপ নিয়ে এক প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলছেন, দামের কারণে একটু কম প্রসাধনী ব্যবহার করলে তাতে কাউকে অসুন্দর লাগবে না।

সব ধরনের প্রসাধন সামগ্রীর উপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে নির্বাচনের বছরে নারীদের ভোট কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে কি না- এই প্রশ্নে মতিয়া বলেন, “একটু কম প্রসাধনীতে অসুন্দর লাগবে এটা ঠিক না।”

অন্যদের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ছাড়াও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন।