বাজেট: বড় ঘাটতি মেটাতে বড় ঋণের পরিকল্পনা

নতুন অর্থবছরে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন, সেখানে সামগ্রিক ঘাটতি দেখানো হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 01:40 PM
Updated : 7 June 2018, 01:40 PM

ঘাটতির এই পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

অবশ্য বাজেটে চার হাজার ৫১ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার আশার কথা বলেছেন মুহিত। ওই অনুদান পাওয়া গেলে ঘাটতি থাকবে এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ঘাটতি মেটাতে সরকারকে দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে। ঋণের অর্থের এই পরিমাণ বিদয়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ঋণের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। 

অর্থমন্ত্রী পরিকল্পনা করেছেন, এবার বৈদেশিক উৎস থেকে ৬০ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হবে। সেখান থেকে ১০ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা আগের ঋণের কিস্তি পরিশোধে খরচ হবে। ফলে সরকারের নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা।

ঘাটতির বাকি ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা নেওয়া হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে হবে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। বাকি তিন হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে।

চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটে নিট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৪৬ হাজার ৪২০ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৪১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এ অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা নিয়ে ঘাটতি মেটানোর কথা বলা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ৬৬ হাজার ১৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

মূল বাজেটে ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ছিল। তবে অর্থবছর জুড়ে বেশি হারে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাত থেকে ৪৪ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংক থেকে ১৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা নেয়ার কথা বলা হয়েছ সংশোধিত বাজেটে।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে তা সামান্য কমিয়ে এক লাখ ১২ হাজার ৪১ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।