জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা বাড়ানো, ভাঙ্গন হ্রাস ও শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৭০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং এবং সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য ৫৩০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুনঃখনন করা হবে।
এর বাইরে ৮৬০টি সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত, তিনটি ব্যারেজ ও রাবার ড্যাম নির্মাণ; বন্যা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা হ্রাসের জন্য ২৪০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও উপকুলীয় বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত এবং ৭১০টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল খনন ও পুনঃখনন কাজ করা হবে জানিয়ে মুহিত বলেন, “ছয়টি আঁড়ি বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে সমুদ্র থেকে ১১০ একর ভূমি পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা আছে।”
অর্থমন্ত্রী জানান, রামসার গাইড অনুসরণ করে বাংলাদেশের সব জলাভূমির তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এছাড়া জলাভূমিগুলোর ব্যবস্থাপনা কাঠামো উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“হাওর এলাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আমরা একটি সমীক্ষা শেষ করেছি। এতে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে,” বলেন মুহিত।