অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেট বক্তব্যে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ রাখা।”
দেশে সরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্যের ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন আছে জানিয়ে মুহিত বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে ধারণক্ষমতা ২৭ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করার জন্য আরও ৬ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার আধুনিক খাদ্য গুদাম বা সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
“এছাড়া দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আমরা দেশের ৮টি কৌশলগত স্থানে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ৮টি আধুনিক স্টীল সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।”
মুহিত বলেন, খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তাদের জন্য টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবীক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানো ও তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে বলেও বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
মুহিত বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমূল্যে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের পরিবারকে শুভেচ্ছা মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদানের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
“ভিজিডি কর্মসূচির মাধ্যমে চলমান পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিতরণ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলায় সম্প্রসারণ করব।”
এছাড়া সিলেট ও মৌলভীবাজার অঞ্চলে মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য চলমান পুষ্টি উন্নয়ন কার্যক্রম সফল হলে তা সারা দেশে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।