বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী মুহিত; তা পাস হবে ২৮ জুন।
এই হিসেবে সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ বাড়ছে প্রায় ছয়শ গুণ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৬টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর আগে।
তিন মেয়াদে সর্বোচ্চ বারোটি বাজেট দেওয়ার রেকর্ডটি এতোদিন ছিল প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের। ৮৫ বছর পেরিয়ে আসা অর্থমন্ত্রী মুহিতও বৃহস্পতিবার তার দ্বাদশ বাজেট নিয়ে সাইফুর রহমানের সেই রেকর্ডে ভাগ বসাচ্ছেন।
অবশ্য টানা বাজেট দেওয়ার রেকর্ড মুহিত আগেই নিজের করে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের (২০০৯-২০১৪) পাঁচটি বাজেটের সঙ্গে এবারের পাঁচটি মিলিয়ে বৃহস্পতিবার টানা দশম বাজেট দিতে যাচ্ছেন তিনি।
মুহিতের হাতে গত নয় বছরে বাংলাদেশের বাজেটের আকার বেড়েছে চারগুণ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যেখানে বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা, নতুন বাজেটে তা ৪ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার মত হতে যাচ্ছে।
সম্পদের সংস্থান করতে পারলে আরও বড় বাজেট দেওয়ার প্রত্যাশা ছিল অর্থমন্ত্রীর। তবে দেশকে মধ্যআয়ের দেশের কাতারে নিতে পারায় তার আত্মতৃপ্তির কমতি নেই।
এবারের ১০৩ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম তিনি ঠিক করেছেন ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ।’
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমে তিন লাখ ৮৪ হাজার কোটির মত হতে পারে বলে জানিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।