শাহজাহান বলেন, বুধবার জাতীয় বীজ বোর্ডের এক সভায় ব্রি ধান ৮৭ দেশজুড়ে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।
“এ ধানের হেক্টরপ্রতি গড় ফলন সাড়ে ছয় টন। এটি আমন মৌসুমের আগাম জাত। কৃষকের মাঠে ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ জাত ২০০৮ সালে উদ্ভাবিত আমন জাত ‘ব্রি ধান ৪৯’-এর চেয়ে সাত দিন আগে ওঠে। ৮৭-এর ফলন আগের জাতগুলোর তুলনায় হেক্টর প্রতি এক টন বেশি। এজন্য আমন মৌসুমের আগাম জাত হিসেবে এটি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।”
এ নিয়ে ব্রি উদ্ভাবিত উফশী জাতের সংখ্যা হলো ৯২টি। এর মধ্যে ছয়টি হাইব্রিড, অন্যগুলো ইনব্রিড।
ব্রি ধান ৮৭-এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে শাহজাহান বলেন, এর দানা লম্বা ও চিকন। এ জাতের পূর্ণবয়স্ক একটি গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সেন্টিমিটার। কাণ্ড শক্ত বলে গাছ লম্বা হলেও ঢলে পড়ে না। এর পাতা হালকা সবুজ। ধান পাকার সময় কাণ্ড ও পাতা সবুজ থাকে। পরিপুষ্ট এক হাজার ধানের ওজন ২৪ গ্রামের বেশি।