নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ৪৫৬ কোটি টাকা

দেশে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকারকে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2018, 12:30 PM
Updated : 30 May 2018, 02:39 PM

বিশ্ব ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাওয়া এই ঋণ ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে ০.৭৫ শতাংশ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।

বুধবার এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ও বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান স্বাক্ষর করেন।

‘সেকন্ড রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন অ্যান্ড রিনিউবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট (আরইআরইডি-২)’ প্রকল্পে এটি বিশ্ব ব্যাংকের অতিরিক্ত অর্থায়ন।  

প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ এলাকা, চর ও দ্বীপাঞ্চলে বসবাসকারী এক কোটি মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ী চুলা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলমান এ প্রকল্পটির মাধ্যমে এই অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে এক হাজার সৌরবিদ্যুৎচালিত পাম্প, ৩০টি সোলার মিনিগ্রিড এবং গ্রামাঞ্চলে প্রায় ৪০ লাখ উন্নতমানের রান্নার চুলা স্থাপন করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ২০০৩ সাল থেকে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত ও পল্লী এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ সম্প্রসারণে সহায়তা করে আসছে। বর্তমানে দেশে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সৌরশক্তি পরিচালিত কর্মসূচি রয়েছে, যা দেশের প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের চাহিদা পূরণ করে।

গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের আরো অতিরিক্ত দুই কোটি ডলার সহায়তায় এ প্রকল্পে উন্নতমানের রান্নার চুলার ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে, যা থেকে ৯০ শতাংশ কম কার্বন নি:সরণ ঘটবে। এতে গতানুগতিক চুলায় ব্যবহৃত জ্বালানি কাঠের তুলনায় অর্ধেক জ্বালানি কাঠ ব্যবহৃত হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নি:সরণ এবং অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের কমবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।