রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে সোমবার এক কর্মশালায় ‘প্র্যাকটিসেস অব অবটেইনিং ক্রেডিট রিপোর্ট অব ফরেন কাউন্টার পার্টস ইন ট্রেড সার্ভিসেস-ইজ ইট ওয়াকিং’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
৬ সদস্যের গবেষক দলের গবেষণায় পাওয়া ফলাফল তুলে ধরেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি রপ্তানি আদেশের বিপরীতে ২৬টি প্রতিষ্ঠান পণ্য রপ্তানি করার পরও পেমেন্টে পায়নি। আমদানিকারককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৬০০ কোটি টাকা অনিয়মের ঘটনা পরবর্তীতে সবার নজরে আসে।
“ক্রেডিট রিপোর্ট অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না; বৈদেশিক বাণিজ্যের ঝুঁকি ও খরচও অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা ব্যাংকিং খাতের সংগঠন মিলে ক্রেডিট রিপোর্টের জন্য তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টির উপর জোর দিয়ে গবেষক দলের প্রধান আহসান বলেন, “এতে কোনো দুর্বল ও ভুয়া ক্রেডিট রিপোর্ট সরবরাহের সুযোগ থাকবে না। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ক্রেডিট রিপোর্ট যথাযথভাবে তৈরি হয় না, গদবাঁধা এসব ক্রেডিট রিপোর্টের কোনো ধরণের বিশ্লেষণ করা হয় না। ফলে অনেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান জালিয়াতির সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি বৈঠকের বিষয়টির ওপর সূচনা বক্তব্য দেন।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা.রাজী হাসান।
আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, “আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য সেবার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে ব্যাংক এবং রাষ্ট্রীয় ঝুঁকি দুটোই বাড়বে।”
“বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য ব্যাংকারদের সর্তক থাকতে হবে। ব্যাংকাররা সর্তক থাকলে কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই।
বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী ও ইয়াছিন আলি ও কমার্স ব্যাংক এজির চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ তৌফিক আলী কর্মশালায় বক্তব্য দেন।