বাজেট ধরে ৫ দাবি ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের

আগামী বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স হার কমানোসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 05:24 PM
Updated : 21 May 2018, 05:24 PM

সোমবার বিআইএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- বীমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে উৎস কর প্রত্যাহার, পুনঃবীমার বিপরীতে উৎস কর প্রত্যাহার, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ওপর আয়কর নির্ধারণ না করা, পলিসি হোল্ডারদের পলিসি বোনাসের ওপর গেইন ট্যাক্স কাটা বন্ধ।

কবির হোসেন বলেন, “দাবিগুলো যৌক্তিক। কয়েক বছর ধরে দাবিগুলো তুলে ধরা হলেও বাজেটে কোনো প্রতিফলন হয়নি।”

সংবাদ সম্মেলনে বিআইএর প্রথম সহ-সভাপতি রুবিনা হামিদ, সহ-সভাপতি এ কে এম মনিরুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য নাসির উদ্দিন পাভেলও ছিলেন।

কবির হোসেন বলেন, “বর্তমানে সাধারণ বীমা ও জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে ৪০ শতাংশ হারে কর্পোরেট ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ২৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট ট্যাক্স দিচ্ছে। তাই বীমা কোম্পানির কর্পোরেট ট্যাক্স হার কমানো উচিৎ।”

এজেন্ট কমিশনের উৎস কর প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বীমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ উৎস কর নেয়। ফলে এজেন্ট এবং দেশের বীমা শিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বীমা এজেন্ট সরাসরি কোনো পণ্য বা সেবা দেয় না বলে ভ্যাটের বিরোধিতা করছে বিআইএ।

“এ সেবা প্রদান করে বীমা কোম্পানি এবং তার জন্য পলিসি প্রিমিয়ামের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কমিশন প্রদান করে থাকে। আবার এজেন্টরা কমিশন আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে আয়কর দেয়। সুতরাং এ আয়ের ওপর যদি আবার ১৫ শতাংশ মূসক দিতে হয় তাহলে দ্বৈত কর ধার্য করা হয় যা কাম্য নয়।”

পুনঃবীমার উৎস কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কবির হোসেন বলেন, বীমা কোম্পানি প্রিমিয়াম গ্রহণ করলেই গ্রাহকের কাছে থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নিয়ে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।

“কোম্পানি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রিমিয়ামের একটি অংশ পুনঃবীমা করে। যেহেতু প্রিমিয়াম নেওয়ার সময় সম্পূর্ণ প্রিমিয়ামের ওপর আইন অনুযায়ী মূসক সরকারি কোষাগারে জমা হয় এবং এ প্রিমিয়ামেরই একটি অংশ পুনঃবীমাকারীকে দেয়া হয়, সেহেতু পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের ওপর ভ্যাট আরোপের কোনো সুযোগ নেই।”

পলিসি বোনাসে ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্সের বিরোধিতা করে বলা হয়, “প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দেশের খুব কম সংখ্যক মানুষ জীবন বীমার আওতায় রয়েছে। পলিসি বোনাসের ওপর গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হলে বীমা সুবিধার আওতায় থাকা মানুষের সংখ্যা আরও কমে যাবে।”