এই চার জেলায় বর্তমানে মেডিকেল কলেজের সঙ্গে হাসপাতাল নেই।
এজন্য ‘স্টাব্লিশমেন্ট অব ৫০০ বেডেড হসপিটাল অ্যান্ড এনসিলারি বিল্ডিংস ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা অ্যান্ড আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জননেতা নূরুল হক আধুনিক হসপিটাল, নোয়াখালী’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব জাহিদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকল্পটি ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসির তালিকাভুক্ত। তবে প্রকল্পটি এখনো ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদন পায়নি। দ্বিতীয় এলওসির আওতায় যে ১৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তারমধ্যে ইতিমধ্যেই ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
“সম্প্রতি আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে চারটি ৫০০ বেডের হাসপাতাল নির্মাণ ও আশুগঞ্জ নদী বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প দুটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। শিগগির এ প্রকল্প দুটিও অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।”
একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য তৈরি কার্যপত্রের তথ্য অনুযায়ী, চার জেলায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১০৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ভারতীয় ঋণ (এলওসি) থেকে যোগান দেওয়া হবে ১৮ কোটি ডলার বা এক হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। বাকী ৬৩৩ কোটি টাকার যোগান দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
প্রতিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচতলা হাসপাতাল ভবন, ছাত্রছাত্রীদের হোস্টল সম্প্রসারণ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ডরমিটরি নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ও অন্যান্য ভবনও নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। এছাড়া হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও সংগ্রহ করা হবে।