সোমবার রাজধানী একটি হোটেলে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের ৫ ও ৬ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “মেট্রোরেল এমআরটি-লাইন ৬ এর কাজ পুরোদমে চলছে। হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির জন্য আমরা ছয় মাস পিছিয়েছিলাম। তবে জাপানিজ কোম্পানি ও জাইকার স্পিরিট কিন্তু কমেনি, এটা খুশির খবর। ছয় মাসে আমরা সেটা কাভার করে ফেলেছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন,২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত পুরো মেট্রোরেলের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
কাদের বলেন, "প্রজেক্ট কিন্তু শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালে। জাপান আমাদের কোয়ালিটি কাজ দিচ্ছে। চমৎকার একটা পার্টনারশিপ এখানে কাজ করছে।"
প্রায় বিশ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল প্রকল্পের পুরো কাজ হচ্ছে আটটি প্যাকেজে ভাগ করে। বর্তমানে তৃতীয় ও চতুর্থ প্যাকেজের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পথে ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণের কাজ চলেছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এক হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ফঞ্চম প্যাকেজের আওতায় ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকেন করপোরেশন, আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও অ্যাবেনিকো জেভির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
আর ষষ্ঠ প্যাকেজের কাজের জন্য ডিএমটিসিএল চুক্তি করেছে সুমিটোমো মিটসুই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও আইটিডির যৌথ কোম্পানির সঙ্গে। প্রকল্পের এই অংশের ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণে ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক এবং লিড পার্টনার হিসেবে টেককেন করপোরেশনের তাকাতোশি নিশিমুরা এবং সুমিটোমো মিটসুইয়ের পক্ষে ইকুয়োকিতাদা দুই চুক্তিতে সই করেন।
অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানসহ মন্ত্রণালয় এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।