এক টাকা খেলাপি হলেও তথ্য দিতে হবে

বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে এক টাকা খেলাপি হলেও ঋণখেলাপি গ্রাহকের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2018, 03:23 PM
Updated : 28 April 2018, 03:23 PM

বৃহস্পতিবার সব ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এতদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা এবং ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা পর‌্যন্ত খেলাপির তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ভাণ্ডার ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি)দিতে হত না।

নতুন সার্কুলারে সিআইবি ডেটাবেইজে দাখিল করা ঋণতথ্যের নিন্মসীমা এক টাকায় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে এক টাকা খেলাপি হলেও সেই তথ্য সিআইবিতে পাঠাতে হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, “ব্যাংকিং খাতের ঋণশৃঙ্খলা জোরদারকরণের লক্ষ্যে সিআইবি ডাটাবেইজে সকল ঋণতথ্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এ প্রেক্ষিতেই সিআইবি ডাটাবেইজে দাখিলকৃত ঋণতথ্য রিপোর্টিং এর নিম্নসীমা পুনঃনির্ধারণপূর্বক সকল ঋণতথ্য অন্তর্ভুক্তিকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্কুলারে এখন থেকে মাসিক ভিত্তিতে ঋণতথ্য সিআইবি অনলাইন সিস্টেমে তুলতে করতে বলা হয়েছে।

গত মার্চ মাসের তথ্য ১০ মের মধ্যে তুলতে করতে হবে। আর এপ্রিল এবং পরের মাসগুলোর তথ্য পরবর্র্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে সিআইবিতে যুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে ঋণগ্রহীতার সব তথ্য পাঠায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কোনো গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। সে অনুযায়ী খেলাপি গ্রাহকরা নতুন করে ঋণ নিতে পারেন না; কিন্তু আগের ব্যবস্থায় ৫০ হাজার টাকার নিচে খেলাপিদের তথ্য থাকত না। এখন এক টাকা খেলাপি হলেও নতুন ঋণ নেওয়া যাবে না।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে যাদের, তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার ৬০২ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়নি।

গত জানুয়ারিতে সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এই ঋণ খেলাপির তালিকায় আছে ১ হাজার ৯৫৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।