বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
রুস্তম আলী তার প্রশ্নে ঋণ খেলাপিদের নাম-ঠিকানা পত্রিকায় দেওয়ার কথা বলেন।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ঋণ খেলাপিদের তালিকা কয়েক দফায় জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সংসদ সদস্যরা লিস্ট দেখতে চেয়েছেন। আমি সেইভাবে কয়েকবার ঋণ খেলাপিদের নাম দিয়েছি।
“তবে তাদের নাম-ঠিকানা কাগজে সম্প্রচারের চিন্তা কখনো করিনি। বিষয়টি এখনো ভেবে দেখিনি। তবে নিশ্চয়ই করতে পারি। এই প্রস্তাবটি বিবেচনার উপযুক্ত বলে মনে করি। ভবিষ্যতে এটি বিবেচনা করা যেতে পারে। সময় সময় তাদের নাম প্রকাশ করা যেতে পারে।”
খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা ঋণ খেলাপি তারা জাতির ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন। যে টাকাটা অন্যখানে বিনিয়োগ করা যেত তারা না নিয়ে গুম করে দেয়।”
সংরক্ষিত আসনের সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে জাতিরসংঘের প্রদেয় বিভিন্ন চাঁদা বাংলাদেশের হার ২০২৭ সালের পর পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের জন্য জাতিসংঘের এলডিসি ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য ‘গ্রিন এনভায়রমেন্ট ফান্ড (জিইএফ) কর্তৃক দেওয়া সুবিধা হ্রাস পাবে বলেও জানান তিনি।