বুধবার সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, “টিভি, অনলাইন ইত্যাদির কারণে এখন বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্র পাঠক হারাচ্ছে। আমাদের হিসেব মতে, বিগত কয়েক বছরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে আমাদের পাঠক কমছে।
“সেই পরিমাণে বিজ্ঞাপনও কিন্তু কমছে। ব্যক্তি ও সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাচ্ছে। সংবাদপত্রের পরিস্থিতিটা অনেকটা রুগ্ন শিল্পের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।”
বিপরীতে ব্যয় বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “গত তিন মাসে বিশ্ববাজারে নিউজ প্রিন্টের দাম প্রতি টনে ১ থেকে দেড়শ ডলার বেড়ে গেছে।”
আগামী ১০ বছর পরে সংবাদপত্র শিল্প থাকবে কি থাকবে না সেই প্রশ্ন এসে গেছে- মন্তব্য করে মতিউর রহমান সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প ঘোষণা দিয়ে কর রেয়াতের প্রস্তাব করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবুও ছিলেন।
মোজাম্মেল বাবু বলেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি টেলিভিশন দর্শক আছে। কিন্তু এসব দর্শককে হিসাবের মধ্যে আনার জন্য সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
“এই বিপুল মানুষকে ডিজিটাইজড করা সম্ভব হলে তাদের কাছ থেকে ১২শ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত কর আদায় করা সম্ভব। আমাদেরও সুবিধা হতো, দর্শক সম্পর্কে আমরা জানতে পারতাম।”
বিদেশির টেলিভিশনের বাংলাদেশে অবাধ প্রচারের সমালোচনাও করেন মোজাম্মেল বাবু।
“বাংলাদেশের যে কোনো বিদেশি চ্যানেল কোনো ফি বা ট্যাক্স না দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এমনকি পাকিস্তান কিংবা তুরস্কের টিভি পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু আমাদের কোনো টিভি চ্যানেল বিদেশে সংযোগ পেতে হলে কোটি কোটি টাকা দিতে হয়।”
তিনি বিদেশি চ্যানেলগুলোকে লাইসেন্স কিংবা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার প্রস্তাব দেন।