বিমসটেকের প্রচারে নজর দেওয়ার পরামর্শ তৌফিক ইমরোজ খালিদীর

বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেককে কার্যকর করতে সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য প্রচার কৌশলে আরও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2018, 01:54 PM
Updated : 20 March 2018, 06:57 PM

মঙ্গলবার ঢাকায় ‘রোল অব মিডিয়া ইন প্রমোটিং বে অব বেঙ্গল আইডেনটিটি’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি বলেন, বিমসটেক কী বা কেন, তা ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন, কেননা এক বাক্যে এ সংস্থার বিষয়ে পরিচিতিমূলক কোনো বিবরণ এখনও তৈরি হয়নি।  

তার ভাষায়, বিমসটেক যদি যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী হয়, তাহলে গণমাধ্যম এই সংস্থাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে সহযোগিতা করতে পারে।

কিন্তু বিমসটেকের ভাবনায় যদি সারবস্তুর অভাব থাকে, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের যদি ঘাটতি থাকে, যে জনগণের প্রতিনিধিত্ব এই জোট করে, তাদের জীবনে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন যদি আনতে না পারে, তাহলে গণমাধ্যমের খুব বেশি কিছু করার থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেকের প্রচারে এগিয়ে আসতে সংবাদমাধ্যমগুলো যাতে উৎসাহী হয়, সেদিকেও নজর দিতে বলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।

জোটের সাত দেশের গবেষক, কূটনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বিমসটেকের ২০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সেমিনারে।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগের সূচনা করে। পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান বিমসটেকে যোগ দেয়।

গত দুই দশকে এই জোটের সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে আনার পাশাপাশি ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণই ছিল এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

আলোচনার উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিমসটেককে ফলাফলমুখী একটি সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

ভৌগলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে বিমসটেক, কাজ করছে সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার একটি সেতুবন্ধ হিসেবে। 

বিশ্বের প্রায় ২১ শতাংশ মানুষ বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোতেই বসবাস করেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই জোটের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। কিন্তু জোটের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ একেবারেই কম।

এর মূল কারণ হিসেবে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও অবকাঠামোর দুর্বলতা এবং আঞ্চলিক অর্থনীতিতে সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।      

ভৌগলিক নৈকট্য, অভিন্ন ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক সাযুজ্যের পরও বিমসটেক এখনও সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মজবুত একটি ক্ষেত্র তৈরির পথে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

এই জোটের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম অবশ্য বলছেন, সাম্প্রতিক দুটি অগ্রগতির ফলে বিমসটেকের একটি সফল আঞ্চলিক জোট হয়ে ওঠার আশা নতুন করে জেগে উঠেছে।

এর একটি হল ২০১৪ সালে ঢাকায় এ জোটের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠা। এবং দ্বিতীয়টি হল ২০১৬ সালের গোয়া সম্মেলনে বিমসটেককে শক্তিশালী ও কার্যকর একটি জোটে পরিণত করতে সদস্য দেশগুলোর নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে ২০১৬ সালে ইসলামাবাদ সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর গবেষকদের কেউ কেউ বিমসটেককে সার্কের বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করেন।   

কিন্তু আঞ্চলিক এই জোট যে এখনও মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেনি, সে কথা উঠে আসে ব্যাংককের চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটির ইন্ডিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক সুরাত হরিশাইলকুলের কথায়।

আলোচনায় তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সাধারণ মানুষ আঞ্চলিক এই জোটের কথা বলতে গেলে জানেই না।

বিমসটেক ফুড ফেস্টিভাল, ফিল্ম ফেস্টিভাল, শিক্ষার্থী বিনিময় এবং ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস বিমসটেক’ খেতাব দিয়ে কীভাবে ব্যাংককে এই জোটকে পরিচিত করার চেষ্টা চলছে, তা তুলে ধরেন এই গবেষক।  

বিমসটেককে আরও ফলদায়ক করতে জোটভুক্ত দেশগুলোর আইনপ্রণেতাদের আরও উদ্যোগী হওয়ার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ। 

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ জোর দেন সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সহযোগিতার ওপর।

‘বে অব বেঙ্গল কমিউনিটি’

বিমসটেক কীভাবে বঙ্গোপসাগরীয় সম্প্রদায় বা ‘বে অব বেঙ্গল কমিউনিটি’ বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। 

তিনি বলেন, সবার আগে দরকার ‘বে অব বেঙ্গল কমিউনিটি’কে সংজ্ঞায়িত করা।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এবং আশপাশের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোই কেবল এ আলোচনায় আসবে, নাকি ঐতিহাসিকভাবে যে দেশগুলো বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক কারণে এই ভূখণ্ডকে তাদের যোগাযোগের পথ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে, তারাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে- সেই প্রশ্ন রাখেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলো যে জোট গড়তে এবং তার মধ্য দিয়ে কার্যকর সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরির কাজটি ভালোই পারে, আসিয়ান তার প্রমাণ। 

তবে তিনি সার্কের বিষয়ে নিশ্চিত নন, কেননা এ জোট ইদানীং সম্মেলনের আয়োজন করতেও ব্যর্থ হচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, আসিয়ানের দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ যেখানে ৩০ শতাংশ, সেখানে বিমসটেকে তা যে তিন শতাংশের কম, সেই পরিসংখ্যান সংবাদমাধ্যমে আসবেই। আর বিমসটেকে দেশগুলোর ব্যর্থতা দেখাতে চাইলে এ ধরনের তথ্যের অভাবও নেই। 

“তাই আমার প্রথম কথা হল, গণমাধ্যমের একার কাজ এটা না। আমি মনে করি, এই সংজ্ঞায়িত (বে অব বেঙ্গল কমিউনিটিকে) করার প্রক্রিয়ায় বা সেই সংজ্ঞা কেমন হওয়া উচিত- সেই ধারণা তৈরির চেষ্টায় সংবাদমাধ্যম কেবল একটি ভূমিকা পালন করতে পারে।”

তিনি বলেন, যারাই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সবাইকেই এটা নিয়ে ভাবতে হবে। সরকারি আমলা আর কূটনীতিবিদ- যারা এই জোটের বৈঠক বা অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকেন, রাজনীতিবিদ আর মন্ত্রী- যারা জোটের লক্ষ্য ঠিক করে দেন এবং রাষ্ট্রনেতা, যাদের হাত দিয়ে জোটের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায় এবং কিছু ক্ষেত্রে মূল নীতিমালাগুলো তৈরি হয়, তাদের সবাইকে এ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।      

“তারা যা যা করবেন, সংবাদমাধ্যম কেবল তাতে সাড়া দিতে পারে। তাদের সেই বার্তা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে সংবাদমাধ্যম।… হ্যাঁ, সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য আর সমালোচনাও আসবে। তবে তা আসবে আপনাদের আলোচনার মধ্য থেকে, যেমনটা আপনারা আজ করছেন।”

কিন্তু সেই আলোচনা যদি হয় অন্তঃসারশূন্য, বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ যদি না থাকে, মানুষের যদি তাতে কোনো উপকার না হয়, তখন যে সংবাদমাধ্যমের করার তেমন কিছু থাকে না, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেন, “যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, সেই রাজনীতিবিদদের কাছ থেকেই প্রথম পদক্ষেপটি আসতে হবে। অবশ্য সব দেশ যে রাজনীতিবিদরাই শাসন করছেন তাও নয়। এমন নজিরও আছে, যেখানে রাজনীতিবিদরা উর্দিধারী সরকারি কর্মচারীদের অধীন।”

বিমসটেককে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্যকর যোগাযোগের পথ তৈরির যে বিকল্প নেই, সে কথাও বলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেন, “কারও কারও শুনতে খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু আমি বলব, এই নিউ মিডিয়ার যুগে যোগাযোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বিমসটেক সচিবালয় এখনও প্রস্তুত নয়। আমার মনে হয়, লোকবল আর অর্থবলের অভাব রয়েছে এখানে।“

এর ব্যাখ্যায় বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক বলেন, আজকের দিনে তথাকথিত মূলধারার গণমাধ্যমের বাইরেও প্রচারের অনেক পথ আছে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে সেই কাজটি করতে গেলে কিছু শ্রমশক্তি আর অর্থ সেদিকেও ব্যবহার করতে হবে।

আর যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের বাইরের যে জনগোষ্ঠী, তাদের মতামতও বিবেচনায় নেওয়ার পরামর্শ দেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেন, “আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা কখনও কখনও সঠিক পরিপ্রেক্ষিতটি বুঝে নিতে ব্যর্থ হই…। বার্তা কক্ষে বসা সম্পাদকরা প্রায়ই পাঠক-দর্শকের চোখ দিয়ে পরিস্থিতি না দেখে পরিস্থিতির বিচার করেন নিজেদের মত করে। সে রকম যাতে না হয়, সেই চেষ্টা আমরা করি না বা পারি না, তা নয়। তারপরও সব জায়গাতেই এটা ঘটে।”   

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, বিমসটেককে আগে ঠিক করতে হবে, যাদের নিয়ে তাদের কাজ, সেই সাত দেশের মানুষের সঙ্গে তারা কীভাবে যোগাযোগ করতে চায়। অর্থাৎ, যোগাযোগের কৌশল নিয়ে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।  

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট কীভাবে একই সঙ্গে মূল ধারার গণমাধ্যমের সংবাদ উৎস হচ্ছে এবং সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, সেই উদাহরণ টানেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। 

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদীর চার কোটি ফলোয়ার সংখ্যার বিচারে যে কোনো সংবাদমাধ্যমের একক প্রচার সংখ্যার চেয়ে বেশি।

“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আপনি পছন্দ করেন বা না করেন, টুইটের মাধ্যমে তিনি নিজেকেই প্রকাশ করেন। তার টুইট তাকে আর তার ব্যক্তিত্ব ও চিন্তার ধরন বুঝতে আমাদের সাহায্য করে।” 

রাষ্ট্রনেতাদের টুইটার ব্যবহারের কথা বলতে গিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী জানতে চান, বিমসটেকের কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে কি না, যেটা তিনি ফলো করতে পারেন।

মূল আলোচনায় ফিরে তিনিও বলেন, বিমসটেক আসলে কী, তা ব্যাখ্যা করা আসলেই কঠিন। এমনকি যে শহরে বিমসটেকের সচিবালয় রয়েছে, সেই ঢাকাতেও বিমসটেককে পরিচিত করা সহজ কাজ নয়।  

“কেবল একটি বাক্য দিয়ে আপনি বিমসটেককে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। এটা সার্ক না, আসিয়ান না, তাহলে এটা কী?

“নাম বদলে ফেললে অনেক সময় কাজ হয়। অবশ্য এরই মধ্যে একবার নাম বদলানো হয়েছে। নামের সংক্ষিপ্ত রূপ তাতে বদলায়নি। সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়েও সব সময় চেনানো সহজ হয় না। তবে নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ‘ইউনিসেফ’ বেশ কাজের। একটা উদাহরণ দিই। ফুটবল স্ট্রাইকার লিও মেসিকে সম্ভবত বিমসটেকের চেয়ে কয়েক লাখ গুণ বেশি মানুষ চেনে, তার জার্সিতেও লেখা থাকে- ইউনিসেফ।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস ইমার্জেন্সি ফান্ড এত বড় একটি নাম যে মানুষ একে আগে জাতিসংঘ শিশু তহবিল বলত, এখন সরাসরি ইউনিসেফ বলে। বলা বা প্রচারের সুবিধার জন্য বড় নামকে ছোট করে নেওয়ার এরকম অনেক উদাহরণ আছে। বিমসটেকের ক্ষেত্রে কী করা যায়, তা এখন ভেবে দেখা যায়।

“যেমন ধরা যাক, বিমসটেককে বর্ণনা করা হল ‘বে অব বেঙ্গল কমিউনিটি’ হিসেবে। আমরা সাংবাদিকরা তখন হয়ত লিখতে শুরু করব এভাবে- বে অব বেঙ্গল কমিউনিটি হিসেবে পরিচিত বিমসটেক এবার তাদের ২০ বছর…।”

দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিমসটেকের বাকি ছয় সদস্য দেশের তুলনামূলক কম উপস্থিতির বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক। 

তিনি বলেন, “অন্য ছয় দেশের প্রতিনিধিদের যে উপস্থিতি, তা খুব বেশি উৎসাহব্যঞ্জক নয়। ফলে আমরা যারা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি, বিমসটেককে নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার মত যথেষ্ট উৎসাহ আমরা এখানে পাব না।”

আলোচনার এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আইসিএলডিএস) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির।