১ হাজার স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: মুহিত

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে এক হাজার স্কুল এমপিওভূক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2018, 05:55 PM
Updated : 14 March 2018, 05:55 PM

বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনার পর সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এমপিওভূক্তির দাবিটা প্রচণ্ড। বিশেষ করে এটা ইলেকশনের বছর।

“দেশে এখন প্রায় ২৬ হাজার মাধ্যমিক স্কুল এমপিওভুক্ত আছে। এখন নতুন করে প্রায় ৯ হাজার বিদ্যালয়ের এমপিওভূক্তির চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে এবার হয়ত এক হাজারের মতো আমরা দিতে পারব।”

এরপরই তিনি বলেন, “এটা দিতেই হবে। এটা আটকানো যাবে না।”

বর্তমানে এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর জন্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় জানিয়ে মুহিত বলেন, নতুনগুলোর জন্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ বাড়াতে হতে পারে।

গত বছরের শেষ দিকে এমপিভুক্তির দাবিতে জোরাল আন্দোলনে নামে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনশনে বসার পর আশ্বাস দিয়ে তাদের তুলেছিল সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন ভাঙছেন শিক্ষকরা (ফাইল ছবি)

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় অন্তত একটি করে মডেল স্কুল করার দাবি জানান। গ্রামে নির্মিত বিদ্যালয় ভবনগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

মুহিত বলেন, “শিক্ষার জন্য (এখন) যে ভবন গড়া হয় সেটা মাত্র ৫ বছরে শেষ হয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায়। আগের একটা স্কুল অনন্তকাল ধরে চলে যাচ্ছে। আমার স্কুল, যেখানে আমি পড়েছি, সেটা এখনও আছে। আমাদের সময় যে রকম বিল্ডিং ছিল, এখনও সেরকমই আছে।”

প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে এবছর ১২১টির জন্য বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা জানান অর্থমন্ত্রী।

আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফাইল ছবি

এ প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, “এই অভিযোগটা প্রত্যেকবারই করা হয় যে জমির উদ্দিন (সাবেক স্পিকার ও বিএনপি নেতা জমিরউদ্দিন সরকার) সাহেবের কৃপায় উত্তরবঙ্গে যেখানে ছাত্র নাই, সেখানে স্কুল আছে। আমরা অনেকগুলো বন্ধ করেছি। কিন্তু আরও অনেক বন্ধ করা দরকার। এগুলো একেবারে খামাকা বানিয়েছেন।”

প্রত্যেক ইউনিয়নের জন্য কিছু না কিছু বরাদ্দ দিতে সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তা সম্ভবপর হবে না বলে জানিয়ে দেন মুহিত।  

সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা আরও বেশি করে ব্যাংকের শাখা খোলার সুপারিশও করেন।

সোলার প্যানেল নিয়েও আলোচনার কথা জানিয়ে  মুহিত বলেন, “সভাপতিরা অভিযোগ করেছেন এখন একমাত্র ইডকল সোলার প্যানেল বানায়। তারা পয়সা নেয়। সেটা বানাতে এক বছর ‍দুবছর লাগে। আর ইডকলের সোলার প্যানেলের দাম অত্যন্ত বেশি। এর অনেক কমে ভালো প্যানেল পাওয়া যায়।”