সোমবার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনার বক্তব্যে তিনি এই আভাস দেন।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাঈদুজ্জামান, সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রায় ৪ রাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার হতে পারে।”
সরকারের রাজস্ব তহবিল বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যায় কি না, সে বিষয়েও চিন্তা ভাবনা করবেন বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ঋণ ব্যবস্থাপনা ও এর নজরদারির অভাবেই দেশের ব্যাংক খাতে দুরবস্থা বিরাজ করছে।
“বেপরোয়া ঋণ প্রদানে অনেক ব্যাংকই সীমা অতিক্রম করেছে। যার ফলে মূলধন সংকট বাড়ছে। প্রতিবছর সংস্কারের নামে অকার্য়কর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে।”
সরকারের রাজস্ব তহবিল বেসরকারি ব্যাংকে রাখার প্রস্তাবও দেন রেহমান সোবহান।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী বছরে অনেক ঋণ খেলাপি রি-শিডিউল করবে নির্বাচন করার জন্য। ঋণ খেলাপিদের ষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।”
সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইদুজ্জামান বলেন, মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকার প্রতি বছর সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে টাকা দিচ্ছে।
“কেন মূলধন ঘাটতি ব্যাংকগুলোকে দিতে হবে। কারা এর জন্য দায়ী, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “সড়কের প্রকল্পগুলো দেখলে বোঝা যায় কত নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যয়ও বেড়েছে।”
ফরাসউদ্দিন আগামী বাজেটে বেকারত্ব দূর করতে কর্মসংস্থানের জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
সাবেক অর্থ সচিব, মোহাম্মদ তারেক বাজেট বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “শুধু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নয়, সম্পূর্ণ বাজেট বাস্তবায়নেই তদারকি জোরদার করতে হবে।”
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলার বাজেটে বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দেন।
“রোহিঙ্গা সংকট আমাদের জন্য বড় ধরনের চাপ তৈরি করতে পারে। দাতারা এখন রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু তা ক্রমাগত ভাবে কমে যেতে পারে।”
সিডিপির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অর্থমন্ত্রীর ধারণা অনুযায়ী ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটির টাকার বাজেট আমাদের জন্য বড় নয় । মাথাপিছু ৩০ হাজার টাকা করে হতে পারে। বাজেট বাস্তবতার সাথে মিল থাকতে হবে।”