আইন ও বিচার বিভাগ এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ করবে ।
এ সংক্রান্ত ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সম্প্রসাণের লক্ষ্যে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নতুন ১২ তলা ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় এটিসহ ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়, যেগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাত হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় সাত হাজার ২৭ কোটি টাকা আর বাকী ৪৪০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে যোগান দেওয়া হবে।
“কিন্তু বিচারপতিদের বেশীরভাগেরই নিজস্ব চেম্বার নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি চেম্বার দুইজন বিচারপতি শেয়ার করছেন।”
বিচার পরিচালনার জন্য ৯৩টি এজলাসের বিপরীতে মাত্র ৬২টি এজলাস থাকায় বিচারকার্য পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “এছাড়াও অতিরিক্ত মামলাজট নিষ্পত্তির জন্য হাই কোর্ট ডিভিশনে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো অধিক সংখ্যক বিচারপতি প্রয়োজন হবে এবং আরো অনেক বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমান চেম্বার ও এজলাস স্বল্পতার কারণে সৃষ্ট সংকট আরো ব্যাপক হবে।
এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রসারণে ১২ তলা ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
ভবনটি নির্মাণ করা হলে অতিরিক্ত ৪০টি এজলাসের সংস্থান হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য একটি প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
‘প্রতি জেলায়/উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, “অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা বয়োজ্যেষ্ঠ এবং উপার্জনক্ষম না হওয়ায় তাদের পক্ষে ভাড়া বা এককালীন অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়।তাই তাদের জন্য প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় তৈরি হবে বহুতল আবাসিক ভবন।”
চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে আট হাজার ফ্ল্যাট।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রকল্প’; এর ব্যয় ৬৬২ কোটি টাকা।
‘সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি (সিভিডিপি) (৩য় পর্য়ায়) প্রকল্প’; এর ব্যয় ৩০১ কোটি টাকা।
‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্য়ায়) প্রকল্প’; এর ব্যয় ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।
‘সিলেট বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানিগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’; এর ব্যয় প্রায় ৬২৭ কোটি টাকা।