গ্রামের গরিবদের জন্য ৬ কোটি ডলার ঋণ আইএফএডির

গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ।

রিয়াজুল বাশার রোম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2018, 05:10 PM
Updated : 13 Feb 2018, 05:10 PM

মঙ্গলবার রোমে আইএফএডি সদর দপ্তরে সংস্থাটির ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলের সভা শেষে ৬ কোটি ৩২ লাখ ডলারের এ ঋণ চুক্তি হয়।

চুক্তির পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, এই অর্থ দিয়ে দেশের উত্তর-পুর্বাঞ্চলের ছয় জেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের নাম ‘প্রমোটিং রেজিলিয়েন্স অব দ্য ভালনারেবল থ্রু একসেস অব ইনফ্রাসট্রাকচার ইমপ্রুভ স্কিলস অ্যান্ড ইনফরমেশন’ যা সংক্ষেপে প্রভাতি নামে পরিচিত।

এ ছয় জেলার মধ্যে রয়েছে- পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও জামালপুর।

ছয় বছরে (২০১৮-২০২৪) বাস্তবায়ন হওয়ার পর এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলাগুলোর ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন বলে আশা করছেন পররাষ্ট্র সচিব।  

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ও আইএফএডি প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হংবো ঋণচুক্তিতে সই করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

ঋণচুক্তির আগে আইএফএডির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক এবং তার দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।  

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৯ কোটি ২০ লাখ ডলার; এর মধ্যে সহজ শর্তে (এক শতাংশের কম সুদ) আইএফএডি ঋণ দেবে ৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার। বাংলাদেশ দেবে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

এছাড়া আইএফএডি আরও এক দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে।

এছাড়া কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে সংস্থাটির সঙ্গে ১১ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত আব্দুস সোবহান সিকদার।

১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত আর্থিক সংস্থা হিসেবে আইএফএডি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি মূলত কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাজ করে।

প্রতিষ্ঠার পর আইএফএডির প্রথম প্রকল্পটি ছিল বাংলাদেশে, যা ১৯৭৮ সালে নেওয়া হয়। সংস্থাটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ৭৮ কোটি ২০ লাখ ডলার অনুদান এবং সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।

আইএফএডির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ৪১তম গভর্নিং কাউন্সিলের সভা বসেছে মঙ্গলবার। এবারের গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিপাদ্য হল ‘টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি গড়তে বিনিয়োগ’।

সংস্থাটির সভাপতির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।