সোমবার ১৮০টি দেশ নিয়ে তৈরি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল থিংক ট্যাংক দ্য হেরিটেজ ফাউন্ডেশন।
সেখানে বলা হয়, দেশের স্কোর গত বারের অবস্থানের চেয়ে শূন্য দশমিক এক পয়েন্ট বেড়ে ২০১৮ সালে ৫৫ দশমিক ১ এক শতাংশে রয়েছে, যা ২০ যা বিচারবিভাগের কার্যকারিতা ও সরকারের সততার কারণে হয়েছে। তবে অর্থনীতিকে মোটা দাগে ‘বদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে।
তবে ওই গবেষণায় সম্পত্তির অধিকার, বাণিজ্য স্বাধীনতা ও শ্রমের স্বাধীনতার স্কোর আগের চেয়ে কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
একটি মুক্তবাজার ব্যবস্থায় দেশগুলো কতটা সংগঠিত তা ওই সূচক পরিমাপ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল অবকাঠামো, দুর্নীতির মহামারী, কম বিদ্যুৎ সরবরাহ ও শ্লথগতির অর্থনৈতিক সংস্কারের কারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বের গড় স্কোর হলো ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার ৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।
তবে দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে ভারত ও আরও কয়েকটি স্কোরের চেয়ে বাংলাদেশের বেশি স্কোর।
৫৪ দশমিক ৫ পয়েন্ট স্কোর নিয়ে ১৩০তম অবস্থানে ভারত, ৫৪ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে ১৩১তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান এবং নেপাল ৫৪ দশমিক এক পয়েন্টে।
৬১ দশমিক ৮ পয়েন্ট স্কোর নিয়ে ভুটান বাংলাদেশের আগে ৮৭তম অবস্থানে আছে। এবং শ্রীলংকা ৫৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১১তম অবস্থানে রয়েছে।
হং কং, সিঙ্গাপুর, নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে।