এখন থেকে সাধারণ ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) হবে ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ; আর ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে হবে ৮৯ শতাংশ।
অর্থাৎ এখন থেকে সাধারণ কোনো ব্যাংক ১০০ টাকা আমানত গ্রহণ করলে ৮৩ টাকা ৫০ পয়সার বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। আর ইসলামী ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে ৮৯ টাকা ঋণ দিতে পারবে।
যে সব ব্যাংক এই সীমার বেশি ঋণ বিতরণ করেছে, তাদের আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সমন্বয় করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতদিন এই দুই ধরনের ব্যাংকের ক্ষেত্রে এডিআর নির্ধারিত ছিল ৮৫ শতাংশ এবং ৯০ শতাংশ।
সোমবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন গভর্নর ফজলে কবির।
এরপর মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এডিআর কমানো এবং বেশি বিতরণ করা ঋণ সমন্বয় করতে বলা হল।
এডিআর কমানোর লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতেও বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
গভর্নর সোমবার জানিয়েছিলেন, ২০টি ব্যাংক নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার আগে গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংকার্স সভায় এডিআর কমানোর আলোচনা হয়েছিল।
ওই সভা শেষে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে প্রথাগত ব্যাংকগুলোর ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর ) ৮৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮৮ শতাংশ করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।
কিন্তু ওই সভার পর ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (এবিবি) গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়ে এডিআর না কমানোর অনুরোধ করেছিল।
ব্যাংকাররা বলে আসছেন, ঋণ দেওয়ায় লাগাম টানলে তাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হয়ে সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রায় তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
গভর্নরের কাছে পাঠানো চিঠিতে এবিবি বলেছিল, নির্বাচনী বছরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাড়তে পারে। তাই সীমা কমানো যুক্তিযুক্ত হবে না।