পদ্মার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে করার চেষ্টায় কাদের

সরকারের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতুর নির্মাণ মেয়াদের মধ্যে শেষ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2018, 02:12 PM
Updated : 18 Jan 2018, 02:12 PM

মাটির স্তরের ভিন্নতার কারণে পদ্মা সেতুর কয়েকটি পাইলের ডিজাইন করতে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েনের পর নিজস্ব অর্থে ২০১৪ সালে নির্মাণ শুরু করে দিয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।

সরকারের মেয়াদের শেষ বছরের শুরুতে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পদ্মা নদীর মাটির লেয়ারের ভিন্নতার কারণে ১৪টি পিয়ার লোকেশনে পাইলের ডিজাইন চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞ দেশ/বিদেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”

কাজের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। ইতোমধ্যে সেতুর একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে।

“পাইল ড্রাইভিং এবং পিয়ার কলামের পাশাপাশি অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে চলতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শুরুর পৌনে ২ বছর পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসানো হয়।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের কাজ গত নভেম্বর পর্যন্ত শেষ হয়েছে ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজ ৫২ শতাংশ এবং নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর বাইরে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।

সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে ২০ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে, যাতে প্রকল্প কাজ আট মাস পিছিয়ে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ফলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংসদে বলেছেন, দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে ৩৩ হাজার ১০২টি এবং চলতি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ৫০ হাজার পদ সৃজনের অংশ হিসেবে ৪৫ হাজার ৪৩৪টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। ফলে পুলিশ ও জনসংখ্যার অনুপাত ক্রমান্নয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

থানায় অনলাইনে জিডি করার পদ্ধতি পুনরায় চালুর কথাও জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় ‘অনলাইন জিডি (লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড) সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই সফটওয়্যার এবং এনআইডি ও বিআরটিএ‘র ডাটাবেজের মাধ্যমে ইন্ট্রিগ্রেশন করার পর এই সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।