দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় হবে আইসিটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র

তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের পর এবার দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় একই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2018, 02:50 PM
Updated : 9 Jan 2018, 02:50 PM

মঙ্গলবার ‘স্টাবলিশমেন্ট অব ১৬০ উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে।

শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে সার্বিক সেবার মানোন্নয়ন এবং ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের জন্য এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার।

“২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এ প্রকল্প বিরাট ভূমিকা রাখবে।”

মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য সব ধরনের সুবিধাসহ ১৬০টি উপজেলায় চার তলা ভিতের ওপর দ্বিতল ভবন তৈরি করা হবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষককে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সংগ্রহ, সফটওয়্যার সংগ্রহ এবং পরামর্শ সেবা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা সংস্থা ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। বাকী ২৫২ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে।

১৫ বছরের রেয়াতকালসহ মাত্র ০.১ শতাংশ হারে সুদসহ ৪০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

একনেক এদিন এ প্রকল্পসহ প্রায় ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়।

এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১১ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা আর বাকী প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে যোগান দেওয়া হবে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে

>> উপজেলা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প। এর ব্যয় ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা।

>> সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্প। এর ব্যয় ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

>> চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় সাঙ্গু এবং ডলু নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৩৩৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

>> পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুকি নিরসন প্রকল্প। এর ব্যয় প্রায় ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।

>> ইসিবি চত্বর হতে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৬৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

>> ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প। এর ব্যয় ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

>> তালাইমারী চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কয়ার নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৫৯ কোটি টাকা।

>> খুলনা শহরে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় প্রায় ১২৯ কোটি টাকা।

>> মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায় প্রকল্প। এর ব্যয় ২১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

>> লালমনিরহাট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প। এর ব্যয় ১০০ কোটি টাকা।

>> ঢাকা-সিলেট-তামাবিল-জাফলং জাতীয় মহাসড়কের জৈন্তা হতে জাফলং পর্যন্ত (তামাবিল ল্যান্ডপোর্ট কানেকটিং ও বাল্লাঘাট সংযোগ সড়কসহ) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় প্রায় ১৯১ কোটি টাকা।

>> নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।