কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি।
Published : 05 Jan 2018, 07:05 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতারবাড়িতে গিয়ে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। পরে সেখানে এক জনসভাতেও তার বক্তৃতা করার কথা রয়েছে।
উদ্বোধনের আগে শুক্রবার প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইউজুমি, জাইকার প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা, পিডিবি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, কোল পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের এমডি আবুল কাশেমও তার সঙ্গে ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল প্রযুক্তিতে। প্রকল্প এলাকায় সড়ক নির্মাণ, টাউনশিপ গড়ে তোলাসহ আনুষঙ্গিক কাজের প্রায় ১৮ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ১৪১৪ একর জমির ওপর এই বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
সব ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নির্মাণ এলাকা পরির্দশনে মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভা ঘিরে কক্সবাজার জেলা ও মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন যে ১০টি প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে খরচের দিক দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরই রয়েছে মাতারবাড়ির প্রকল্পটি।
২০১৫ সালের অগাস্টে মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। কিন্তু দরপত্র প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই পরের বছর জুলাইয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জাপানি প্রকৌশলীসহ ১৭ জন বিদেশি নিহত হওয়ায় সেই দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
মহেশখালীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও গভীর সমুদ্র বন্দর ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপন করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও নগর গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে সরকার, যাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা দেওয়া হচ্ছে।