তিনি বলেছেন, “অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর নাম শুনি। তাদের শান-শওকত দেখে আমরা মুগ্ধ হই… কিন্তু এদের শীর্ষ করদাতার তালিকায় নাম দেখি না।”
‘এটা কীভাবে সম্ভব’ প্রশ্ন তুলে এই ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান নতুন চেয়ারম্যান।
নিয়োগ পাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে যান নতুন চেয়ারম্যান। প্রথমে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। কর্মকর্তারা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন।
মোশাররফ বলেন, “আমরা অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীর নাম শুনি, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি জানি। কিন্তু কর দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সবার পেছনে থাকেন। এ কারণে বড় বড় আলোচিত এসব ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
বগুড়ায় ‘কর বাহাদুর’ সম্মান পাওয়া নিজের এক বন্ধুর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় যারা কর বাহাদুর হয়েছেন, সেসব জেলায় তাদের চেয়েও বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু কর দেওয়ার তালিকাতেই তাদের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না।
“এ কারণেই তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে, অথচ কর দেন না, তাদের কাছ থেকে যে করেই হোক কর আদায় করতে হবে।”
বেশি মানুষকে করের আওতায় আনার এনবিআরের যে সব প্রচেষ্টা চালু আছে, তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান মোশাররফ।
রাজধানীর আবাসিক বাড়ি মালিকদের সবার যাতে ‘ট্যাক্স ফাইল’ হয় সে দিকে এনবিআর কর্মকর্তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান মোশাররফ।
কর্মকর্তাদের সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সৎ হলে নিজে যেমন ভালো থাকবেন। পরিবার ভালো থাকবে; অন্যরাও ভালো থাকবে। দেশও ভালো থাকবে।”